ফার্মেসিতে করোনার টিকা, তদন্ত করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর

মডার্নার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়া গেছে রাজধানীর ফার্মেসিতে, অর্থাৎ ওষুধ বিক্রির দোকানে। অথচ এই টিকা অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় থাকার কথা স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেফাজতে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানিয়েছেন এ ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্টা) বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এ তথ্য জানান।

বুধবার (১৮ আগস্ট) বহু কাঙ্ক্ষিত এই টিকা পাওয়া গেছে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার একটি ওষুধের  দোকানে। দক্ষিণখানে দরিদ্র পারিবারিক সেবা সংস্থা ক্লিনিক নামের একটি ফার্মেসি থেকে মডার্নার ভ্যাকসিনের দুটি ভায়াল (প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা থাকে) উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে সেখান থেকে মডার্নার ভ্যাকসিনের খালি ভায়ালসহ ২১টি খালি প্যাকেটও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় টিকা রাখার বাক্সসহ মডার্না টিকার দুটি ভায়াল জব্দ করা হয় বলে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া জানান।

কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের এই টিকা কী করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে ওষুধের দোকানে পাওয়া গেলো সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

করোনা ভাইরাসের  টিকা কী করে ফার্মেসিতে পাওয়া গেলো জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এগুলো শুনছি, কিন্তু সবার আগে এটা কনফার্ম করতে হবে।

তার আগে এ নিয়ে কথা বলা সঠিক হবে না। কারণ, এগুলো জেনুইন, নাকি নয়! সেটাও দেখার বিষয় রয়েছে।’

কিন্তু এত স্ট্রিক্টলি প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যে জিনিসটা গেছে, সেটা আদৌ সঠিক নাকি নকল —এগুলোও আমরা কেউ জানি না মন্তব্য করে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর তাহলে তদন্ত করবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা একটা সিরিয়াস ইস্যু, অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতর তদন্ত করবে।’ তবে কবে নাগাদ অধিদফতর তদন্ত করবে, কী প্রক্রিয়ায় আগাবে এ নিয়ে সিনিয়ররা সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন,  ‘এটা সিনিয়ররা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এদিকে পুলিশ বলছে, গ্রেফতার বিজয় কৃষ্ণ নিজেকে একজন প্যারামেডিক বলে দাবি করেছেন। তার ফার্মেসিতে অবৈধভাবে মডার্নার টিকা দেওয়া হতো। তবে কোথা থেকে তিনি ওই টিকা পেলেন, তা জানা যায়নি। বিজয় কৃষ্ণ পল্লী চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দাবি করলেও এ বিষয়ে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

পরে এই ঘটনায় রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।