ওমিক্রনে কত মৃত্যু, বলা দুরূহ: স্বাস্থ্য অধিদফতর

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন—তাদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রনের কারণে হয়েছে তা বলা দুরূহ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত সাতদিনে বাংলাদেশে শনাক্তের হার সপ্তাহের শুরুতে ( ২ ফেব্রুয়ারি) ছিল ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা গত ৮ ফেব্রুয়ারিতে ২০ শতাংশের কিছুটা ওপরে আসে। তিনি আরও বলেন, কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। যেটা নিশ্চয়ই বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে এবং উদ্বেগের কারণ তো বটেই। আর ওমিক্রনের কারণে কতগুলো মৃত্যু হয়েছে সেগুলো ইনভেস্টিগেশন না করে বলা খুবই দুরূহ একটি কাজ।

এ পর্যন্ত যতগুলো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, তবে এখন পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই টিকা গ্রহণ করেননি। কাজেই টিকার প্রভাব আছেই।

তবে বিষয়টি নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ ( আইইডিসিআর) একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আমরা ফলাফল হাতে পেলেই সেবিষয়গুলো সবাইকে জানানো হবে, বলেন তিনি।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি, যথাসময়ে টিকা গ্রহণ করা গেলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা গেলে এবং কোমরবিডি'র ( জটিল রোগে আক্রান্ত) বিষয়গুলো নিয়ে যে বিশেষ সর্তকতার দাবি রাখে, সেগুলো যদি যথাসময়ে চিকিৎসার আওতায় আনা যায় তাহলে নিশ্চয়ই মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে, আর অন্যান্য সবার মতো শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার হারও আশাব্যঞ্জক বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ১ কোটি শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ আর ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শেষ হয়েছে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ১ কোটি ৮১ লাখের বেশি প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৫৬ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভাসমান জনগোষ্ঠীর জন্য যে টিকাদান কর্মসূচি ছিল সেটিও চলছে। এতে করে যাদের সুযোগ রয়েছে তারা যদি অন্যদেরকে সহায়তা করি তাহলে টিকাদান কর্মসূচি আরও সফলতা পাবে।