বাংলাদেশে আসতে হেলথ ডিক্লারেশন লাগবে না

বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে অনলাইনে ‘হেলথ ডিক্লারেশন ফরম’ পূরণের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিধান জারি করে সার্কুলার দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে অন্যান্য শর্ত আগের মতো বহাল থাকবে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) এয়ার কমডোর শাহ কাওছার আহমদ চৌধুরীর সই করা সার্কুলারটি গত ৩০ অক্টোবর জারি করা হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করার বিধান বাতিল করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শর্ত আগের মতো বহাল থাকবে।’

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ডেস্কএয়ার কমডোর শাহ কাওছার আহমদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিত হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করার নিয়ম বাতিলের বিধান জারি করে সার্কলার দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অন্যান্য শর্তগুলো আগের মতো বহাল থাকবে।’

প্রসঙ্গত, পূর্বের শর্তের মধ্যে রয়েছে— বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যেকোনও টিকার পূর্ণ ডোজ যারা নিয়েছেন, বাংলাদেশ আসতে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে। যেসব যাত্রী এক ডোজ কিংবা কোনও ভ্যাকসিন নেননি, তাদের বাংলাদেশ আসতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে।

১২ বছরের নিচে শিশুদের কোনও করোনা টেস্ট করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।  টিকা নেওয়া বা না নেওয়া কোনও যাত্রীর মধ্যে করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ যদি দেখা যায়, তাহলে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ যাত্রীর  করোনা টেস্ট করাবে। টেস্টে তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসলে, তাকে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে সাত দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর পুনরায় সাত দিন পর আবারও তার করোনা পরীক্ষা করা হবে।