হ‌ুমায়ূন আহমেদের ভাবনা নিয়ে ‘ভ্রমণবিলাস’

ভ্রমণবিলাস ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হুমায়ূন আহমেদ ও নিষাদের ছবিনন্দিত লেখক হ‌ুমায়ূন আহমেদের ‘সমুদ্রবিলাস’ নাটকের কথা ধরুন। এর গল্পে বড় একটি বাস জোগাড় করে সমুদ্র দেখানোর বন্দোবস্ত করেন কয়েকজন। সেই বাসে বিভিন্ন বয়সী ও মজার চরিত্রের যাত্রীরা উঠে বসেন। সঙ্গে ওঠেন গায়ক। বাস চলতে থাকে। জমে ওঠে আড্ডা।

ঠিক এমন স্বাদ দিতে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছেন হ‌ুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি নুহাশপল্লী কর্তৃপক্ষ। তার একসময়ের সহকারী ও নুহাশ পল্লীতে কর্মরত জুয়েল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, ভ্রমণবিলাস নামে একটি গাড়ি আছে তাদের। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এতে চড়ে নুহাশপল্লী ছাড়াও গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক দেখার সুযোগ থাকে।

নির্মাতা জুয়েল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে একটি এসি মাইক্রোবাস বা বাস আমরা শহরে পাঠিয়ে দিই। যারা যেখান থেকে উঠতে চান, তাদের সেখান থেকে গাড়িতে তুলি। সঙ্গে থাকে বেশ কয়েক পদের নাশতা। তারা নাশতা খেতে খেতে সাফারি পার্কে পৌঁছান। সেখান থেকে নুহাশপল্লী। দুপুরে গোসল সেরে আমরা বুফে খাবারের ব্যবস্থা করি। খাবারগুলো সব স্যারের (হ‌ুমায়ূন আহমেদ) পছন্দের।’

জানা গেছে—সকালের নাস্তার মধ্যে থাকে স্যান্ডউইচ, কলা, ডিম, প্যাকেট বিস্কুট ও পানি। বুফে খাবারে দেওয়া হয় সাদা পোলাও, সাদা ভাত, গরুর মাংস, রোস্ট, মুরগির গিলা-কলিজা, মুগডাল, আলু ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা,  টাকি মাছের ভর্তা, টাকি মাসের ঝোল, সালাদ, মিশ্র সবজি, পায়েস, মিষ্টি, দই ও পানীয়। বিকালের নাশতায় থাকে গরুর দুধের চা, সিংগারা/সমুচা/পুরি/কেক/ভাঁপা পিঠা/চিতই পিঠা/ডাল ভাজা (যেকোনও তিনটি আইটেম) ও নুহাশপল্লীর ৩০০ ফুট গভীর নলকূপের পানি।

ভ্রমণবিলাসের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জুয়েল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “এটি মূলত স্যারেরই কনসেপ্ট। এমন কনসেপ্টে তিনি ‘সমুদ্রবিলাস’ নাটকটি তৈরি করেন। পরে স্যার বলছিলেন, কেউ একজন ট্যুরটি চালু করে দিলেই হলো। এ বিষয়টি একদিন মেহের আফরোজ শাওন ম্যামের কাছে তুলে ধরলাম। গত দুই বছর ধরে তিনি এটি চালু রেখেছেন।”

ভ্রমণবিলাসে যুক্ত হয়ে সারা দিন হ‌ুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিময় এই নন্দনকাননে ঘোরাঘুরিসহ সেখানকার প্রকৃতি ও দর্শনীয় স্থাপনাগুলো দেখার সুযোগ মিলবে। দিনশেষে আবার গাড়িতে করে দর্শনার্থীদের বাসায় নামিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য প্রত্যেককে গুনতে হয় ১ হাজার ৭৯৯ টাকা।

ট্যুরটির বুকিং দিতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯১১৯২০৬৬৬ নম্বরে। অথবা vromonbilash.com ওয়েবসাইটে ঢুঁ দিতে পারেন।