সমুদ্র সৈকতে গেলেই মন ভালো হয়ে যায় সবার! তাই ভ্রমণকারীদেরকে সাগরপাড় সবসময় কাছে টানে। নীল জলরাশি আর সাদা কিংবা সোনালি বালুময় সৈকতেই সাধারণত বেড়াতে যায় পর্যটকরা। তবে অতুলনীয় ও কিছুটা অদ্ভুত সমুদ্রতটও আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য তিন পর্বে আমরা জানাবো বিশ্বের অন্যরকম সৌন্দর্যমণ্ডিত ১৫টি সমুদ্র সৈকতের গল্প। আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
সূর্য ডোবার পর সময় গড়ানোর সঙ্গে আলোকিত হয়ে ওঠে মালদ্বীপের ভাদুর এই সমুদ্র সৈকত। রাতের বেলায় যেন পুরো আকাশ নেমে আসে সাগরপাড়ে। একঝলকে মনে হবে নক্ষত্রালোকিত আকাশ। এর কারণ কিছু সামুদ্রিক ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন। এই প্রাণি পৃথকভাবে অতি ক্ষুদ্র। সেগুলো রাতের আঁধারে জ্বলজ্বল করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গ্লাস বিচ’ এখন দেখতে চোখধাঁধানো। বাংলায় বলা যায়, এর নাম কাচের সৈকত। সেখানে দেখা যায় হাজার হাজার কাচের পাথর। এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্ধকার অতীত। বহু বছর আগে স্থানীয়রা বিভিন্ন আবর্জনা ফেলে রেখে যায় সেখানে। সাগরপাড়ে যেসব কাচ এখন দেখা যায়, সেগুলো মূলত ওইসব আবর্জনা বা জঞ্জাল। সাগরের স্রোতে ভেসে সেগুলো ফিরে এসেছে এই সৈকতে। এরপর জলের তোড়ে ধীরে ধীরে তা রূপ নিয়েছে কাচে।
বেলাভূমি সাধারণত সোনালি হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা হলদে নয়তো সাদা দেখায়। কিন্তু ফ্রেঞ্চ গিয়ানার কুহুর সাগরপাড়ের বেলায় তা মোটেও খাটছে না। এই সমুদ্রতটে গেলে চোখে পড়বে সবুজ রঙের বালি! সেজন্যই এর নাম ‘গ্রিন স্যান্ড বিচ’। একবার ভাবুন তো, বেড়াতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সবুজ বালুকাবেলায় আর সামনে নীল জলরাশি!
মেক্সিকোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে অন্যতম ইজলাস মারিয়েতাসে অবস্থিত এই সাগরপাড়। স্থানীয়রা জায়গাটিকে বলে প্লাইয়া দেল আমোর। এর বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘প্রেমের সৈকত’। সৈকতটি অবশ্য ‘হিডেন বিচ’ নামে বেশি পরিচিত। এর কারণ সাগরপাড়টি একটি গুহার ভেতরে। গুহার ওপরে বিশাল একটি ফাঁকা অংশ রয়েছে, সেখান দিয়েই সূর্যের আলো পৌঁছে যায় এই নির্জন সৈকতে।
আটলান্টিক মহাসাগরের প্রবাল দ্বীপ বাহামাসের এই গোলাপি সৈকতে মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের জন্য ভিড় করে নবদম্পতিরা। এটি পরিচিত ‘পিঙ্ক স্যান্ড বিচ’ নামে। সমুদ্রতটে ছড়িয়ে থাকা বালিতে ফ্যাকাশে গোলাপি আভা আর নীল জলরাশির চেয়ে রোমান্টিকতা আর কীসে থাকতে পারে! স্বর্গ বুঝি একেই বলে!