বান্দরবানের অধিকাংশ হোটেল-মোটেল সেজেছে নতুনভাবে। এগুলোর ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক বান্দরবানে ভিড় জমাবেন। পর্যটকবাহী চান্দের গাড়ি আর মাইক্রোবাসের ব্যবসায়ীরাও একই আশা করছেন।
বান্দরবানে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, রিজুক ঝরনা, প্রান্তিক লেক, নীল দিগন্তসহ সুউচ্চ পাহাড় ও সাঙ্গু নদীর মনোরম দৃশ্য ছাড়াও রয়েছে মনকাড়া অসংখ্য পর্যটন স্পট। পাহাড়-কন্যা বান্দরবানের এসব প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর ঈদে ও অন্যান্য সরকারি ছুটিতে দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার পর্যটক। এবারও তাদের পদচারণায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখর হয়ে উঠবে বলে আশা হোটেল ব্যবসায়ীদের।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল রিভার ভিউ’র ম্যানেজার সুমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদুল আজহা হবে আগামী ২২ আগস্ট। এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমাদের হোটেলে কিছুটা বুকিং হচ্ছে। তবে গত বছরের কোরবানি ঈদের তুলনায় এবারের বুকিং তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমাদের এখনও অনেক রুম খালি পড়ে আছে। অবশ্য সামনে বুকিং হবে বলে আশা করছি।’
হোটেল বুকিং কম থাকায় কিছুটা হতাশ অন্য ব্যবসায়ীরা। বান্দরবান মাইক্রোবাস চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল বলেন, ‘আমাদের গাড়িগুলো পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি। সবাই আমাদের গাড়িতে চড়ে নিরাপদে বেড়াতে পারবে। তবে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল আশানুরূপ বুকিং না হওয়ায় আমরা হতাশ। তারপরও বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছি।’
ডিসি’র সঙ্গে তাল মিলিয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসন্ন ঈদ উপলক্ষে যেসব পর্যটক বান্দরবানে বেড়াতে আসবেন, তাদের জন্য প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, প্রত্যেক পর্যটক জেলায় নিরাপদে বেড়াতে পারবেন।’