কুমিল্লা মহানগর থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। এখানে রয়েছে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি। ময়নামতি জাদুঘরের পাশে আছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশেই বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব স্থানে আসার জন্য রয়েছে রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা। তাই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় ঈদ ও ছুটির দিনগুলোতে।
কুমিল্লার শিক্ষাবিদ এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।’
শালবন বিহারে শিশুদের নিয়ে এসেছেন অভিভাবকরা। নগর উদ্যানেও শিশুসহ অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। বেড়ানোর সময় মোবাইল ফোনে ছবি ও সেলফি তোলায় মেতেছিল তরুণ-তরুণীরা।
নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে আড্ডা দিতে ও নৌকায় চড়তে জনসমাগম ছিল লক্ষণীয়। লালমাই পাহাড় ও মহানগরীর বেসরকারি পার্কগুলোতেও ভিড় ছিল। তবে টিকিটের মূল্য চড়া হওয়ায় সবশ্রেণির দর্শনার্থীদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ কম।
পরিবার নিয়ে ফেনী থেকে শালবন বিহারে বেড়াতে এসেছেন কামাল হোসেন। তিনি মনে করেন, সড়ক ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা থাকলে দর্শনার্থীদের সুবিধা হবে। তার মন্তব্য, ‘প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ হলে পর্যটনে কুমিল্লা আরও সাফল্য পাবে।’