নিজের জন্মদিনে অন্যকে চমকে দেওয়া!

যার জন্মদিন, তাকে সবাই চমকে দিতে চায়। তবে ব্যতিক্রমও আছে। এমন অনেকে আছেন, যারা নিজের জন্মদিনে অন্যের পিলে চমকে দিতে পারলেই বর্তে যান! তেমনই কিছু জন্মদিনের ঘটনা সাড়া ফেলেছিল দুনিয়ায়। সেগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত পাঁচটি থাকলো এখানে। 

1বিমান থেকে লাফ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের কুখ্যাত নির্যাতন কেন্দ্র থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা সৌভাগ্যবান ব্যক্তি গ্যারি লেঞ্জনার। সেই থেকে তার বেজায় সাহস। ২০১১ সালে নিজের ৮৫তম জন্মদিনে ১০ হাজার ফুট ওপরে উড়তে থাকা বিমান থেকে লাফিয়ে তিনি চমকে দেন সবাইকে। একজন সঙ্গী আর প্যারাসুট অবশ্য ছিল। মাটিতে নামার ৪০ সেকেন্ড আগে প্যারাসুট উন্মুক্ত করেন লেঞ্জনার। তিনি এসে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর পূর্বে জামুলের নিকোল’স ফিল্ডে। তার দাবি, ‘আমার বয়সে হিটলারও এমন সাহস দেখাতো না!’ গ্যারি লেঞ্জনারের স্কাইডাইভিং ছিল এক দশকের পরিকল্পনার ফসল। ৮৫ বছর বয়সে কেন স্কাইডাইভ দিলেন, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘জীবন একটাই। মরে গেলে তো মরেই যাবেন!’

4সেতুঝম্প
বয়সে কী আসে যায়! মার্কিন বৃদ্ধা ডরোথি কাস্টারের মুখে দাঁত থাকুক আর না থাকুক, অন্যদের দাঁতে কপাটি লাগিয়ে দিলেন ঠিকই! ২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো প্রদেশের টুইন ফলস শহরে ৪৮৬ ফুট উঁচু পেরিন ব্রিজ থেকে বেজ জাম্পিং করে তিনি উদযাপন করেন নিজের ১০২তম জন্মদিন! মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে ভিডিওতে ধারণের পর তা ইউটিউবে শেয়ার দিয়েছেন ডরোথি।

5শতবর্ষে স্কি
১০০ বছর বয়সেও ভয়ানক খেলা স্কি করা সম্ভব! নিজের শততম জন্মদিনে সেটাই দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার থেরাপিস্ট এলসা বেইলি। সেদিন বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দামি খাবার আর নাচগানে সময় কাটান তিনি। মজার মজার অনেক উপহারও পান। তবে শেষ মজাটা দেখালেন এলসা বেইলি নিজেই। বন্ধুদের চমকে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর অ্যারাপাহো বেসিনে স্কি করতে নেমে পড়েন ভ্রমণবিলাসী এই বৃদ্ধা। ৭৫ বছর ধরে স্কি করেন তিনি। এক দশক আগে এমন একটা ইচ্ছে তার মনে বাসা বেঁধেছিল।

2সিঁড়িতে ওঠানামায় সেঞ্চুরি
পেশায় ব্যায়াম প্রশিক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাট রিখটার-স্যান্ড। ২০১৩ সালের মার্চে নিজের ৩১তম জন্মদিনে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাথলেটিক পার্কের সান্তা মনিকা স্টেয়ারসে ১০০ বার ওঠানামা করেন তিনি। আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সচেতনতা তৈরির জন্যই এমন কাজ করেছেন তিনি। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের হাঁটার উপকারিতা বোঝাতেই তার এই পদক্ষেপ। ম্যাটের দাবি—সেখানে তিনি যতবার সিঁড়ি ভেঙেছেন, তা নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে ১০ বার ওঠানামা করার সমান।

3কর্মীদের কাছে আস্ত প্রতিষ্ঠান বিলি
কারও জন্য জন্মদিন মানে উপহারের ফুলঝুরি। আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় সেই উপহারের মাত্রা কমবেশি হতেই পারে। চেনাজানা এই রীতি আমূল বদলে দেন মার্কিন ব্যবসায়ী বব মুর। ২০১০ সালে নিজের ৮১তম জন্মদিনে উপহার তো নেননি একটিও, উল্টো নিজেই উপহার দিলেন ২০৯ জন অধীনস্থ কর্মীকে। কী সেই উপহার? জানা গেলো, নিজের প্রতিষ্ঠান ‘রেড মিল ন্যাচারাল ফুডস’-এর শতভাগ মালিকানাই তিনি তুলে দেন কর্মীদের হাতে। প্রতিদান ভালোই দিয়েছেন কর্মীরা। প্রায় অচেনা একটি প্রতিষ্ঠানকে ঈর্ষণীয় মাত্রায় লাভজনক করেছেন তারা।