ঘোড়ার গাড়ি: বরিশালে নগর বিনোদনে নতুন মাত্রা

01ঘোড়ায় টানা দুটি মাঝারি আকারের বাহারি নকশার গাড়ি বরিশালে নগর বিনোদনে নতুন মাত্রার স্বাদ এনে দিয়েছে। নগরীর বেলস পার্ক এলাকায় প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এতে চড়ে আনন্দ পাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

বেলস পার্কে ঘুরতে আসা সুমাইয়া মাসুম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার অনেক ইচ্ছে ছিল। বরিশালে ঘোড়ার গাড়ির সুবাদে সেটি পূরণ হলো।’

ঘোড়ার গাড়ি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন মো. রাকিব। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঘোড়া দুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘লাল চাঁন’ ও ‘হলুদ চাঁন হাড্ডি’। দুটোই পুরুষ ঘোড়া। হলুদ চাঁন হাড্ডি ঘোড়াটি কিছুটা রাগী। ‘লাল চাঁন’ অবশ্য শান্ত।

গত রোজার ঈদে বিনোদনপ্রেমী ও শিশুদের কথা মাথায় রেখে বরিশালে ঘোড়ার গাড়ি চালু করা হয়। তবে সদর রোড সড়ক ও জনপথে এটি চলা নিষেধ।

মো. রাকিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছুটির দিনগুলোতে মোটামুটি লোকজন হয়। প্রথমে পার্কে ও সন্নিহিত এলাকায় একচক্করের জন্য আমরা জনপ্রতি ২০ টাকা করে নিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে ঘোড়ার খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে নিচ্ছি। প্রতি ট্রিপে ৯-১০ জন যাত্রী হলে রওনা দেওয়া হয়। আমরা চুক্তিতেও যাত্রীসেবা দিয়ে থাকি। ঘণ্টাচুক্তি ১০০০ টাকা। ঘোড়া দুটির পেছনে প্রতিদিন ৭০০ টাকার খাবার লাগে।’

গাড়িটির চালক আর ঘোড়া দুটির পরিচর্যাকারী মো. বিজয় (১৯) ও মো. শিপন (১৬) মাসিক বেতনে কাজ করেন। বিজয় ১৫ হাজার টাকা ও শিপনকে মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতনে রাখা হয়েছে। তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান— ঘোড়া দুটিকে প্রতিদিন ভুষি, কুড়া, কাঁচা ঘাস, ছোলার ভুষি খাওয়াতে হয়।

ঘোড়ার গাড়িটির মালিক আকাশ শরীফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শখ থেকে বরিশালবাসীর জন্য ঘোড়ার গাড়ি এনেছি। এজন্য আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বলার মতো সাড়া না পেলেও হাল ছাড়ছি না। বরং আমরা আশাবাদী।’