চোখ জুড়ানো মনমাতানো বাসুলিয়া

3নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর বাসুলিয়া। দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে দেয় এখানকার সৌন্দর্যের রানি ‘হিজল গাছ’। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলের মিতালি। এ যেন প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দরের সমাবেশ। চারদিকে থই থই পানি, বিলের মাঝখানে হিজল গাছ আর নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর অ্যাডভেঞ্চার সবার কাছেই উপভোগ্য।

টাঙ্গাইল শহর থেকে বাসুলিয়ার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। টাঙ্গাইল থেকে বাসাইল গিয়ে সখীপুর সড়ক ধরে মাত্র তিন কিলোমিটার পেরোলেই বাসুলিয়া। সখীপুর যাওয়ার সময় ডান দিকে চোখে পড়বে বিশাল চাপড়া বিল। এর পূর্ব-দক্ষিণাংশে দাঁড়িয়ে আছে ভাসমান হিজল গাছ। অনেকের ধারণা, হিজল গাছটির জন্ম এখানে নয়। সেই প্রাচীন যুগে এটি নিয়ে আসা হয় আসাম রাজ্য থেকে।

7সড়কে দাঁড়ালে দক্ষিণের জলরাশি ছুঁয়ে আসা মিষ্টি হাওয়া মন জুড়িয়ে দেয়। শুরুর দিকে লোকজন এই জায়গাকে ঢাকার আশুলিয়া বাঁধের দক্ষিণে জল-হাওয়ার সঙ্গে তুলনা করতো। তখনই চাপড়া বিলের কিনারাকে ‘বাসুলিয়া’ নামে ডাকা হয়। সেই থেকে সময়ের পরিবর্তনে লোকমুখে স্থানটি ‘বাসুলিয়া’ নামে পরিচিতি পায়।

4বাসুলিয়া ইতোমধ্যে বেড়ানোর জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এলাকাটি লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। উপচেপড়া ভিড়ের কারণে নৌকায় উঠতেও অনেকের পেছনে অপেক্ষমাণ থাকতে হয় দর্শনার্থীদের। উপজেলায় বিশেষ কোনও দর্শনীয় স্থান না থাকায় চিত্তবিনোদনের জন্য বাসুলিয়াকে বেছে নিয়েছেন স্থানীয়রা।

2এখানকার মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে বিভিন্ন জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আসে। ঘুরতে এসে পরিচিত মুখের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ার মতো ঘটনাও আছে। সব মিলিয়ে বাসুলিয়া এখন পরিণত হয়েছে মানুষের মিলনমেলায়।

দর্শনার্থীদের খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য বাসুলিয়ায় বসে অস্থায়ী দোকান। এছাড়া আছে স্থায়ী কয়েকটি ফাস্টফুডের দোকান।

5উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তাই বাসুলিয়াকে আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে যুক্ত হয়েছে লাইটিং। এছাড়া সড়কঘেঁষে দর্শনার্থীদের বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চ ও একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

1এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাসুলিয়া এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, দর্শনীয় স্থান বাসুলিয়ায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশি টহল থাকে।