হাওয়াই ভলকানোস ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন জায়গাটি পর্যটকদের জন্য নিরাপদ। শুধু বেড়ানোর সময় একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, এই যা! দর্শনার্থীদের সতর্ক করে পার্কের সুপারিনটেন্ডেন্ট সিন্ডি অরল্যান্ডো জানান, সেখানে এখন ঘোরাফেরার স্থান থাকবে সীমিত।
পার্ক পুনরায় চালু হওয়ায় পাহাড় ধস ও বিশাল গর্তে পড়ার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে দর্শনার্থীদের সতর্কবাণী হিসেবে বিশেষ কিছু উপদেশ দিয়েছে হাওয়াই ভলকানোস ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, ‘কিলুয়ার অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপ ক্রমাগত শক্তিশালী ও অনিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে রূপান্তরিত হচ্ছে। তাই এই গতিশীল প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিন ও পরিবেষ্টিত এলাকার বাইরে থাকুন।’
অগ্ন্যুৎপাতের কারণে দ্বীপের অনেক স্থানে আগ্নেয়গিরির ছাই এখনও রয়ে গেছে। এ কারণে কিছু ট্রেল ধরে হাইকিংয়ে আগ্রহী পর্যটকদের চোখের সুরক্ষায় চশমা ও মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে হাওয়াই ভলকানোস ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অনিশ্চিত আবহাওয়া ও ফের আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাতের উদ্বেগ তো আছেই।
বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে কিলুইয়া অন্যতম। এ বছরের মে মাসে সেখানে তীব্রবেগে লাভা নির্গমন হতে শুরু করে। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদেরকে সরে যাওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। নতুবা আটক করা হতে পারে বলে জানিয়ে রাখেন সরকারি কর্মকর্তারা।
ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ভবন, পানি ও নর্দমার লাইন ভেঙে পড়া আর ৬০টিরও বেশি ধস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনার কারণে গত ১১ মে হাওয়াই ভলকানোস ন্যাশনাল পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া কিলুইয়া আগ্নেয়গিরির প্রাদুর্ভাবে লাভা প্রবাহের কারণে ৭০০ ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন