বান্দরবানের থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাজারের রেস্টহাউজ ও ইউনিয়ন পরিষদের রেস্টহাউজ সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি পাঁচতলা আবাসিক হোটেলের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এখানে প্রায় ২৪টির মতো রুম থাকবে। উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তৈরি হচ্ছে বাজার শেড কাম রেস্টহাউজ। সেখানেও পর্যটকরা থাকতে পারবে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চারতলায় পর্যটকদের জন্য রাখা হয়েছে দুই-তিনটি রুম।’
বান্দরবান জেলার একটি দুর্গম এলাকা থানচি। এখানকার নীল দিগন্ত, ডিম পাহাড়, নাফাকুম, বড় পাথরসহ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে হাজারও পর্যটক ভিড় করেন। এসব পর্যটন কেন্দ্রে নদী, পাহাড়, ঝরনা দেখে মুগ্ধ হন সবাই।
থানচি ঘুরে আসা পর্যটক মো. জাকারিয়ার কথায় সেই সমস্যা বোঝা গেলো। রেমাক্রি বাজার থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পায়ে হেঁটে নাফাকুম পর্যটন কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি। ঘণ্টাখানেক ঘোরাঘুরির পর আবারও আড়াই ঘণ্টা হেঁটে রেমাক্রি বাজারে পৌঁছাতে হয় তাকে। সেখানে বাধ্য হয়ে পাহাড়িদের মাচাং ঘরে ঘুমিয়েছেন। পরদিন ভোরে বান্দরবান সদরে ফেরেন তিনি। তার কথায়, ‘আবাসিক ব্যবস্থা ভালো হলে সেখানে আরামে বিশ্রাম নেওয়া যেতো।’
থানচির বাসিন্দা সাথুই অং মারমা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, উপজেলাটি এখন আর আগের মতো দুর্গম নয়। সড়ক পথে বান্দরবান থেকে তিন ঘণ্টায় এ উপজেলায় সহজেই পৌঁছানো যায়। কিন্তু ভালো আবাসনের অভাবে অনেকেই ঘুরতে এসে না থেকে চলে যায়। তার মন্তব্য, ‘একটু উন্নত থাকার ব্যবস্থা হলে পর্যটক বাড়তো, একইসঙ্গে উপজেলার উন্নয়ন হতো।’