কোন জেলার নামকরণ কীভাবে

দিল্লির সুলতানের ছেলের নামানুসারে ‘বগুড়া’

বগুড়ার মহাস্থানগড় (ছবি: ওয়ালিউল বিশ্বাস)ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল আয়তনের দেশ বাংলাদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচার মন কাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ ও মিনার, নদী, পাহাড়, অরণ্যসহ হাজারও সুন্দরের রেশ ছড়িয়ে আছে টেকনাথ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত।

বগুড়ার মহাস্থানগড় (ছবি: ওয়ালিউল বিশ্বাস)দেশের আট বিভাগে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ) ৬৪ জেলা। প্রতিটি জেলার নামকরণের সঙ্গে রয়েছে ঐতিহ্যপূর্ণ ইতিহাস। এসব ঘটনা ভ্রমণপিপাসু উৎসুক মনকে আকর্ষণ করে। তাই বাংলা ট্রিবিউন জার্নিতে ধারাবাহিকভাবে জানানো হচ্ছে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
বগুড়া জেলা

রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত বগুড়া হলো উত্তরবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বগুড়া জেলা ছিল প্রাচীন বাংলার পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী। ভারতের রাজা অশোকা বাংলা জয় করার পর এর নাম রাখেন পুণ্ড্রবর্ধন। এটি বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
১২৭৯ থেকে ১২৮২ কিংবা ১২৮১-১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান গিয়াস উদ্দীন বলবানের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দীন বগরা খান বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ হয়েছে বগরা বা বগুড়া। খেয়াল করলে দেখা যায়, ইংরেজিতে এই জেলার আক্ষরিক বাংলা হলো বগরা।
বগুড়া জেলায় পর্যটকদের জন্য রয়েছে দর্শনীয় বেশকিছু স্থান। এগুলো হলো বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘর, গোকুল মেধ, প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে বিখ্যাত মহাস্থানগড়, ভাসু বিহার, যোগীর ভবন, ভিমের জঙ্গল, সুলতানি ও মোগল আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ, করতোয়া নদী, ব্রিটিশ আমলে ‘নীলকুঠী’ নামে পরিচিত নওয়াব প্যালেস। আর বগুড়ার দই তো বিখ্যাত। 
সূত্র: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন