লন্ডনে বেড়ানোর জন্য ভাড়া নিতে পারেন ম্যাডোনার বাড়ি!

Space to relaxযুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে একসময় মার্কিন পপসম্রাজ্ঞী ম্যাডোনার ছয়খানা ঝকঝকে বাড়ি ছিল। এর মধ্যে চটপটে একটি বিলাসবহুল বাড়ি এখন অবকাশযাপনের জন্য পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। জর্জিয়ার বাড়িগুলোর মতো এর বাইরেও বড়সড় আঙিনা আছে।

লন্ডনের অভিজাত সাউথ কেনসিংটনের পাড়ায় অবস্থিত বাড়িটি। একসময় এখানেই সাবেক স্বামী গাই রিচিকে (ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক) নিয়ে থাকতেন ম্যাডোনা। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একছাদের নিচে ছিলেন তারা।

ম্যাডোনা ও গাই রিচিএরপর টাকা-পয়সাওয়ালা একজনের কাছে বিলাসবহুল জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে ম্যাথু ভন পরিচালিত ‘লেয়ার কেক’ ছবিতে এর ইন্টেরিয়র দেখা গেছে। এতে অভিনয় করেন ড্যানিয়েল ক্রেগ।

Pricey experienceগোটা বাড়িতে যেন আলো-বাতাস সহজে ঢুকতে পারে সেভাবেই এটি বানানো। ম্যাডোনার একসময়কার বাড়িটির মেঝে থেকে সিলিংয়ের উচ্চতা অনেকখানি। এতে রয়েছে দুটি ডাবল বেডরুম, দুটি বাথরুম, বসার জায়গা ও রান্নাঘর। এছাড়া আছে চমৎকার গ্রন্থাগার, ছয় আসনের সোফা, বিভিন্ন সময়ের জিনিসপত্র ও সুদৃশ্য কার্পেট।

Movie magicসংগীতশিল্পীর বাড়ি বলে কথা, তাই সেখানে চোখে পড়বে একটি পিয়ানো। যদিও অতিথিদের জন্য এটি ব্যবহারের অনুমতি নেই। তবে ম্যাডোনার প্রতি সম্মান জানিয়ে পার্টির আয়োজন করলে কেউ বাধা দেবে না।

মহাতারকাদের বাড়িতে সাধারণত যা থাকে সেগুলোর অনেক কিছুই এই বাড়িতে নেই। যেমন ছাদে বড়সড় সুইমিং পুল কিংবা পোশাকের বিশাল আলমারি (ওয়্যারড্রব)।

Home away from homeতবুও সব মিলিয়ে বাড়িটি চোখধাঁধানো পর্যটন স্পট। কল্পনা করতে পারেন, ওয়ার্ল্ড ট্যুর শেষ করে সেখানে গিয়ে হেলান দিয়ে বসে আছেন ম্যাডোনা! তার বর্তমান আবাস্থল পর্তুগালের লিসবনে অষ্টদশ শতকের একটি জমিদার বাড়িতে।

Madonna`s house for rentলন্ডনে বেড়াতে গিয়ে এই বাড়িতে থাকার কথা ভাবলে ব্যয়বহুল অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকা ভালো। এটি কমপক্ষে চার দিনের জন্য ভাড়া নেওয়া যায়। প্রতি রাতের জন্য গুনতে হবে ৫০০ মার্কিন ডলার (৪২ হাজার টাকা) থেকে ৯৭০ ডলার (৮১ হাজার টাকা)। সেখানে সোফা বেড মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছয় জনের শোবার জায়গা আছে।

A-list credentialsহোমঅ্যাওয়ে ডটকমের ওয়েবসাইটে পি৪৭৭৫৪১৬ রেফারেন্স নম্বর ব্যবহার করলে এর তথ্য চলে আসবে। এছাড়া লন্ডন পারফেক্ট ডটকমের তালিকাভুক্ত বাড়িটি।

সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল