আরাধ্যকে নিয়ে ঐশ্বরিয়ার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

Aishwarya-trip-FIবক্স অফিসে একটার পর একটা ছবি নিয়ে হয়তো হাজির হন না ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তবে তার হাতভর্তি কাজ থাকে সবসময়। বিজ্ঞাপনের শুটিং, চিত্রনাট্য পড়া কিংবা শোনাসহ আরও নানান দায়িত্ব সামলাতে হয় তাকে। এবার আমেরিকার ভ্রমণ বিষয়ক ম্যাগাজিন কন্ডে নাস্ট ট্রাভেলারের ৫০তম সংখ্যার প্রচ্ছদ আলোকিত করেছেন তিনি। এতে লাল শার্টের ওপর লাল জ্যাকেট জড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এর প্রচ্ছদ উন্মোচনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী এই তারকা।

Aishwarya Rai Bachchan main_0ঐশ্বরিয়া ভারতের বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে বেশিরভাগ সময় সঙ্গে থাকে একমাত্র মেয়ে আরাধ্য। সব অনুষ্ঠানে কিংবা পার্টিতে মা-মেয়েকে একসঙ্গে দেখা যায়। আরাধ্যকে কাছে রাখা প্রসঙ্গে কন্ডে নাস্ট ট্রাভেলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাশ বলেন, আরাধ্যর জন্মের পর থেকেই আমরা তাকে নিয়ে ঘুরেছি। অভিষেক ও আমি প্রথমে গোয়া নিয়ে গিয়েছিলাম আমাদের মেয়েকে। ওর বয়স যখন মাত্র চার মাস, তাকে নিয়ে লঙ্গিনেসের (সুইস ঘড়ির ব্র্যান্ড) একটা কাজে দুবাই যাই। তখন সবে পাসপোর্ট পেয়েছিল সে! ও সঙ্গে থাকলে ভ্রমণ বরাবরই আনন্দময় মনে হয়েছে আমার। আরাধ্যও উপভোগ করে আমার সঙ্গে বেড়াতে। আমাদের মতোই যেখানেই যে পরিবেশেই যাক না কেন, আরাধ্য মানিয়ে নিতে পারে। ছোট থেকেই তাকে সবকিছুর বর্ণনা দিয়েছি। আমার সব কথা মন দিয়ে শোনে সে। তখন পরিষ্কার দেখতে পাই, কথাগুলো তাকে প্রভাবিত করছে।’
ওয়াশিংটন ডিসিতে এখন চেরি ফুল রঙ ছড়িয়েছে। এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত ঐশ্বরিয়া। এই শহরের সঙ্গে দিল্লির সাদৃশ্য পান বলেও জানিয়েছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
ইনস্টাগ্রামে নিজের পরিবারের বেড়ানোর প্রিয় জায়গাগুলোর ছবি শেয়ার করেন ঐশ্বরিয়া। ভ্রমণের জন্য তারা বেছে নেন সাগরপাড়, পাহাড়-পর্বত, শহর, বন ও মরুভূমি। আরাধ্যর জন্মের পর তাকে নিয়ে সৈকতেই বেশি গেছেন বলে জানান অ্যাশ।
ঐশ্বরিয়ার ট্রাভেল ব্যাগে কোন জিনিস সবসময় থাকে? তার উত্তর, অভিষেক তো সবসময় হাসে আর বলে, আমার ব্যাগ নাকি ম্যারি পপিনস ব্যাগের মতো। আরাধ্যর জন্মের আগেই থেকেই ব্যাগভর্তি জিনিসপত্র সঙ্গে নিই। একটা মানুষের যা কিছু প্রয়োজনীয় সবই নিয়ে যাই। আমার ব্যাগে সবই থাকে!’