ট্রাফিক সিগন্যালে এলভিস প্রিসলি

181207130017-friedberg-elvis-traffic-lights-exlarge-169রক এন রোলের রাজা এলভিস প্রিসলির প্রতি সম্মান জানিয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের উত্তরে ফ্রাইডবার্গ শহরে তিনটি নতুন ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হলো। পথচারীদের রাস্তা পারাপারের নির্দেশনা হিসেবে এগুলোতে জ্বলজ্বল করছে তার প্রতিকৃতি। 

মাইক্রোফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এলভিসের প্রতিকৃতিসহ লালবাতি জ্বললে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা বোঝেন, তাদের অপেক্ষা করতে হবে ফুটপাতে। আর তার চিরচেনা নাচের ভঙ্গি রয়েছে সবুজ বাতিতে। তখন অপেক্ষারত মানুষদের জানানো হয়, এখন সময় রক এন রোলের অর্থাৎ রাস্তা পার হওয়ার!

শহরের এলভিস ভক্ত বাসিন্দাদের জন্য দৃষ্টিনন্দন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আঞ্চলিক সংবাদপত্র ভেটারাওয়া সাইটুংকে জানান স্থানীয় রাজনীতিবিদ মারিয়ন গৎজ। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৯০০ ইউরো (৮৫ হাজার টাকা)।

Friedberg, north of Frankfurtমার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৫৮ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৬০ সালের মার্চ পর্যন্ত ফ্রাইডবার্গে দায়িত্ব পালন করেন এলভিস প্রিসলি। তাই এই শহরে তার নামে (এলভিস প্রিসলি প্লাৎজ) একটি স্কয়ার আছে। এছাড়া ফ্রাইডবার্গের কাছের শহর বাড নাওহাইমে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এলভিস প্রিসলি চলচ্চিত্র উৎসব।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাদের মধ্যে এলভিস অন্যতম। জার্মানিতে থাকাকালে ভক্তদের চিঠির উত্তর দেওয়ার জন্য একজন সেক্রেটারি নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেনা ঘাঁটির বাইরে অপেক্ষমাণ ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতেন আমেরিকান এই রক কিংবদন্তি। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায়ও নিয়মিত গান বের হতো তার। জার্মানিতেই এক পার্টিতে ১৪ বছরের কিশোরী প্রিসিলার সঙ্গে এলভিসের পরিচয় হয়। ১৯৬৭ সালে তারা বিয়ে করেন। তবে ১৯৭৩ সালে তাদের সংসার ভেঙে যায়। ১৯৭৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন এলভিস প্রিসলি।
সূত্র: ডেইলি মেইল