ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে আসা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি পাগল চাঁদ ঠাকুরের ভক্ত। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে পৌঁছেছি।’
মেলাকে ঘিরে হিজলডাঙ্গা শিশু-নারীসহ নানাবয়সী মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের আত্মীয়-স্বজন মেলা দেখতে আসেন। অনেকে মেলা দেখতে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছেন।
প্রতি বছর বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিন শুরু হয়ে পরদিন রাত পর্যন্ত চলে পাগল চাঁদ ঠাকুরের মেলা। সেই হিসেবে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয় এবারের আয়োজন। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মেলা আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দর্শনার্থীদের অনুরোধে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে।
ইচড়বাহা গ্রামের পীযূষ কুমার মনে করেন, পাগল চাঁদ ঠাকুরের মেলা আমাদের এলাকার পুরনো ঐতিহ্য। সীতারামপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী যুক্তা পোদ্দারের কথায়, ‘মেলায় আনন্দ করার জন্য সারাবছর আমরা অপেক্ষায় থাকি। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে এই আয়োজন উপভোগ করি।’
মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হিজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন কুমার রায় জানিয়েছেন, এবার মেলায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ৫০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। তার তথ্য অনুযায়ী, শত বছর আগে এই মেলার সূচনা হয়। পরবর্তী সময়ে এর কলেবর বৃদ্ধি পায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে আধ্যাত্মিক সাধক পাগল চাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। মেলা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। মেলা কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী।