হোটেল ও অবকাঠামো গড়লে সোনারগাঁওয়ে পর্যটক বৃদ্ধির প্রত্যাশা

107 IMG_7226সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। রাজধানী ঢাকার খুব কাছে এই জায়গায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সুবিধার্থে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি হোটেল গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া সোনারগাঁওয়ে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব বলে মন্তব্য তার।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অভ্যন্তরে আমাদের ১৬৮ বিঘা জমি রয়েছে। এই জায়গাটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে সোনারগাঁওয়ের গৌরব পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। এছাড়া পাশের পানাম সিটিকে সঠিকভাবে সাজানো গেলে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সোনারগাঁও।’

কে এম খালিদ আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী বাজেটে সোনারগাঁওকে কেন্দ্র করে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, বাংলার হারিয়ে যাওয়া চারু ও কারুশিল্পীদের আদি ঐতিহ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন।

ইতিহাসে রয়েছে, ১৩৩৮ সালে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ সোনারগাঁওয়ে প্রথম প্রাচীন বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৬০৮ সালে মোগল সম্রাট সুলতান ইসলাম খাঁর আমলে রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর হয়। সোনারগাঁওয়ের পানাম সিটি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার করেন ঈশা খাঁ।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, এসব ইতিহাস এমন একটি জায়গায় লিপিবদ্ধ করতে হবে যেন এখানে আসা পর্যটকরা একনজরে জানতে পারে। এজন্য ব্যবস্থা নিতে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালককে নির্দেশ দেন তিনি।

সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের মেলায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী ১৭০টি স্টলে অংশ নিচ্ছেন।

ঢাকা থেকে গুলিস্তান হয়ে নারায়ণগঞ্জে যাওয়া যায় সহজে। এরপর অটোতে চড়ে সোনারগাঁও পৌঁছালেই চোখে পড়বে লোককারুশিল্প জাদুঘর।