শার্শার পদ্মবিলে পাখি আর পাখি

অতিথি পাখি (ছবি: সংগৃহীত)৫০ গজ দূরেই ভারতের কাঁটাতারের বেড়া। পাশেই সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম। এর পাশেই প্রায় ৭০ বিঘা জমির জলাশয় নিয়ে পদ্মবিল। সেখানে এখন পাখি আর পাখি! সরাইল, পানকৌড়ি, ডংকুর, বেগ ও কাসতেচুড়াসহ অসংখ্য পাখি। আকাশে মনের সুখে উড়ছে। পাখির কলকাকলীতে মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ানো বিভিন্ন জাতের পাখি দেখে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে তাদের।

পৌষের হাড়কাঁপানো শীতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি অতিথি পাখির আগমনে মুখর শার্শা পদ্মবিল। পাখি দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য শহর থেকে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণপিপাসু আসছে। প্রাণ খুলে প্রাকৃতিক দৃশ্য ও পাখি দেখে মুগ্ধ তারা। এই নির্জন জলাশয়ে এসে যেন অতিথি পাখিরা পুলকিত! পাখির কলতানে গোটা এলাকায় এখন মনোরম পরিবেশ।

স্থানীয় দর্শনার্থী মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় হাজার হাজার পাখি আসে জলাশয়ে। এরপর সকালে খাবারের সন্ধানে উড়ে যায়।

তবে শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক। এ কারণে ভ্রমণপিপাসুদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছেন দুর্গাপুর গ্রামের দুই বাসিন্দা মনির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।

অতিথি পাখি (ছবি: সংগৃহীত)পদ্মবিল পরিদর্শন করে লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক থাকায় বিষয়টি সুরাহার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তার মন্তব্য, এলাকাবাসীর কড়া নজরদারি থাকায় সবুজ বেষ্টনী ঘেরা জলাশয়ে পাখির সমাগম দেখা যাচ্ছে।

আশঙ্কার কথা হলো, উপজেলার অনেক স্থানে ফাঁদ পেতে ও এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকারের অপচেষ্টা চলছে। শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পাখি শিকারিদের কড়া নজরদারিতে রাখছি আমরা। পরিবেশের ওপর যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মবিলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাখি সংরক্ষণে কাজ করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।’