পাবনায় ১০ দিনের পুষ্পমেলা

(বাঁ থেকে) স্নোবল ও পান চাটিয়া ফুল (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)পান চাটিয়া, গোল্ডেন ঝাউ, লিটল স্টার, পাইন ঝাউ, লন্ডমেক্স, অর্কিড, স্নোবল, জারভেরা, ক্যালেনডোলা, ক্যাপসিকাম, গোলাপ, গাদাসহ চেনাজানা ফুলের সমাহার। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামারবাড়ি চত্বর যেন এখন ফুলের বাগান। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে এখানে ১০ দিনের পুষ্পমেলা শুরু হয়েছে।

পাবনা জেলা কৃষি বিভাগ ও নার্সারি মালিক সমিতির আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে পুষ্পমেলা উদ্বোধন করেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজাহার আলী।

মেলার ১৭টি স্টলে দেখা যাচ্ছে নানান জাতের বাহারি সব ফুল। প্রথম দিনে মেলায় আসা কয়েকজন দর্শনার্থীর মন্তব্য, শহরের যান্ত্রিকতার মাঝে পুষ্পমেলার আয়োজন নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে আরও বড় পরিসরে পুষ্পমেলার প্রত্যাশা তাদের।

মেলার স্টল ঘুরে দেখছেন অতিথিরা (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)পাবনা জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আপাতত বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও স্টলের সংখ্যা বাড়ানো যায়নি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘অন্য ফসলের চেয়ে ফুলের চাষ দ্বিগুণ লাভজনক হওয়ায় জেলার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। পাবনা জেলার মাটি ও আবহাওয়া ফুলচাষের উপযোগী। এখন ১৬-১৭ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হচ্ছে। উৎপাদিত ফুলের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

ফিতা কেটে পুষ্পমেলার উদ্বোধন (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)গত বছর পুষ্পমেলায় ১৫ লাখ টাকার ফুলগাছ বিক্রি হয়েছিল বলে জানান এই কৃষিবিদ। গত বছরের মতোই ভালো সাড়া মিলবে বলে আশা পাবনা জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতির। মেলা চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।