প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আলাদা একটি প্রাণ আছে। মানুষকে মুগ্ধ করার আলাদা ক্ষমতা রয়েছে, পৃথিবীর আর কোথাও এমনটি পাওয়া যাবে না। আমাদের পাহাড়ের লেকের সৌন্দর্য ও সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনের মতো প্রাণ পৃথিবীর আর কোনও লেক বা সাগরে মিলবে না। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে বা বনভূমিতে জোছনা রাতে চাঁদের আলোর স্নিগ্ধতাও অতুলনীয়।’
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় নতুন নতুন পর্যটন গন্তব্য আবিষ্কার হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তার কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য সব পর্যটন গন্তব্যকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা। আমাদের দ্বীপগুলোকে পর্যটন স্বর্গ হিসেবে গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে পর্যটন শিল্প আগামীতে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পে পরিণত হবে। তার নেতৃত্বে আমাদের সম্ভাব্য সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে সব ধরনের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের পর্যটনবান্ধব জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা কোথাও যেন কোনও হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যেন সহজেই পর্যটন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য বিমানবন্দরের গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করা হবে। এখন দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের কাছের সরকারি হোটেল-মোটেলগুলোকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের জেনারেল ম্যানেজার জেমস পি ম্যাকডোনাল্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।