উত্তরা গণভবনের মূল প্যালেসের পাশের রানীমহল, গ্র্যান্ড মাদার মহলের পাশের অংশ ও ইতালিয়ান গার্ডেনের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। এগুলোতে ফুটে আছে নানান রঙ ও বর্ণের দৃষ্টিনন্দন ফুল। এসবের সঙ্গে মিনি চিড়িয়াখানা আর সংগ্রহশালা দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। তাদের চোখে, গণভবন এখন আগের চেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যেন চেনাই যায় না!
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা গণভবনের মূল ফটক পেরোলেই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভেতরে দু’পাশের সারি সারি ফুলের গাছ। প্রতিটি ফুল গাছেই এসেছে ফুল। কিছুদূর এগোলেই বড় গাছগুলোতে দেখা যাচ্ছে থোকা থোকা ফুল।
পশু-পাখির দায়িত্বে থাকা মেহেদি হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, চিড়িয়াখানায় মোট পাঁচটি হরিণ থাকলেও শ্যামা হরিণটি নতুন শাবক জন্ম দিয়েছে। ছোট্ট ফুটফুটে হরিণ শাবক দেখতে ভিড় করছে শিশু-নারীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট বিক্রির দায়িত্বে আছেন নয়ন কুমার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রতিদিনই দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে টিকিট বিক্রি বাড়ছে। এর সুবাদে রাজস্ব আয়ও বেড়ে চলেছে।’
জেলা প্রশাসক শাহরিয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা গণভবনের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা কেবিনেটে পাঠানো হয়েছে। এটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। প্রস্তাবনা পাস শেষে বরাদ্দ দেওয়া হলে ব্যাপক উন্নয়ন করা যাবে। সেটি সম্পন্ন হলে গণভবনকে ঘিরে এই জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সহজ হবে।’