প্রাচীন যুগের হারিকেন ও তালা, ৬০ কেজি ওজনের পানির বোতল, তালপাতার পুঁথি, রংপুরের মহারাজা জিএল রায়ের চাদর, রাজকীয় জরীর পোশাক, ১৯৫৭ সালের আওয়ামী লীগের ব্যানার ও ছয় দাঁত বিশিষ্ট জিহ্বা সংযুক্ত শানপাথরের মূর্তি; আরবী, ফার্সি ও বাংলা লেখায় ভূমির দানপত্রসহ আরও অনেক প্রাচীন জিনিসপত্র আছে নীলফামারী জাদুঘরে।
১৯৫৮ সালে জেলা প্রশাসকের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়। এটি পরিপূর্ণতা পায় ১৯৮৩ সালে। ২০০০ সালে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক এবিএম কামরুল ইসলাম। তবে স্থানস্বল্পতা, জনবল সংকট ও অর্থাভাবে জাদুঘরটির বেহাল দশা।
এটিএম মজিবর রহমান বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল প্রাচীনকালের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো জাদুঘরে ধরে রেখে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। কিন্ত অর্থনৈতিক অভাব ও জনবল সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’
কেয়ারটেকার রতন কুমার রায় জানালেন, জাদুঘরটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনি ছাড়াও একজন অফিস সহকারী আর প্রধান দায়িত্বে একজন আছেন। তারা বিনা বেতনে স্বউদ্যোগে ২০০০ সাল থেকে কাজ করে আসছেন। বেতনভাতা নিশ্চিত করে মানবেতর জীবনযাপন থেকে রক্ষার অনুরোধ জানান তারা। পাশাপাশি জাদুঘরটিকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসক স্বীকার করেন, প্রাচীন এসব জিনিসপত্র সংরক্ষণের তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই জাদুঘরটি সংরক্ষণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।