সেন্টমার্টিনে ভালোবাসার সাগরে ভ্রমণপ্রেমীরা

সেন্টমার্টিন সৈকতে পর্যটকদের ভিড়বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জন ও কাছের মানুষদের সঙ্গে সেন্টমার্টিনে সাগরের ঢেউয়ে গা ভাসাচ্ছেন দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুরা। ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনে তাদের পদচারণায় মুখর এই প্রবাল দ্বীপ। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তারা। তাই সৈকতে এখন উপচেপড়া ভিড়।

পহেলা ফাল্গুনে সকাল থেকে টেকনাফ দমদমিয়া জাহাজঘাট এলাকা দিয়ে সাতটি জাহাজে চড়ে দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসতে শুরু করেন। এগুলো হলো— কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ডাইন, এমভি ফারহান, গ্রিন লাইন, বে ক্রুজ, আটল্যান্টিক ক্রুজ ও এলসিটি কাজল।

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের ইনচার্জ মো. শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পর্যটকদের মধ্যে সেন্টমার্টিনে বেড়ানোর ব্যাপক কৌতূহল। আমাদের জাহাজে আগাম বুকিং রয়েছে।’

দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, ভালোবাসা দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) পাশাপাশি পেয়ে যাওয়ায় বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে দ্বীপটিতে ভিড় করছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করেছেন সৈকতে। কেউ সমুদ্রস্নানে মেতেছেন, কারওবা সময় কাটছে বালিয়াড়িতে। অনেকে একে অপরকে ফুল ও উপহার দেন।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দ্বীপে ছোট-বড় শতাধিক আবাসিক হোটেল ও কটেজ রয়েছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এগুলোর প্রায় সবই ভাড়া হয়েছে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছে বলা যায়।

শুধু কপোত-কপোতিরা নয়, মা-বাবা-ভাই-বোন, সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে ভালোবাসার দিন আজ। রাজধানীর উত্তরা থেকে বেড়াতে এসেছেন মাসুদ ও লাভলী জুটি। আনন্দ-উচ্ছ্বলতায় দারুণ সময় কাটছে বলে জানান তারা। চাকরিজীবী মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী রানু আরা বেগমের কথায়, ‘এই দ্বীপের সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালির অনুভূতি অন্যরকম। মনে প্রশান্তি কাজ করছে এখানে বেড়িয়ে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সেন্টমার্টিনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোনও পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে সজাগ আছি আমরা।’