জাহাজে ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতা

এম.ভি. মধুমতিআকাশপথ ও সড়কপথের পাশাপাশি ঢাকা থেকে নৌ-পথেও কলকাতায় যেতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নিজস্ব অত্যাধুনিক জাহাজ এম.ভি. মধুমতিতে চড়ে ওপার বাংলায় যাওয়া যাবে। এজন্য সময় লাগবে ৪৮ ঘণ্টা।

জানা গেছে, আগামী ২৯ মার্চ রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জের পাগলা মেরি এন্ডারসন থেকে ছেড়ে যাবে এমভি মধুমতি। এরপর বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন-আন্টিহারা-হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় পৌঁছাবে এই জাহাজ।

বিআইডব্লিউটিসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য/যাত্রী) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা-কলকাতায় জাহাজ চলাচল করবে। বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি চালু হচ্ছে।’

টিকিট
বিআইডব্লিউটিসি’র রকেট রিজার্ভেশন নম্বরে (৯৬৬৭৯৭৩) ফোন করে টিকিট বুকিং দেওয়া যাবে। এরপর বাংলামোটরে তাদের কার্যালয় থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য/যাত্রী)।

ভাড়া ও খাওয়া
ঢাকা-কলকাতা জাহাজের কেবিন ভাড়া ফ্যামিলি স্যুট (দুই জন) ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি (যাত্রীপ্রতি) ৫ হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি (দুই জন) ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার (যাত্রীপ্রতি) ৮ হাজার টাকা ও সুলভ শ্রেণি বা ডেক (যাত্রীপ্রতি) ১৫০০ টাকা। ভাড়ার সঙ্গে খাবারের সুবিধা নেই। তবে জাহাজে বিভিন্ন খাবার কেনা যাবে।

শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ আশ্বাস দিয়েছেন, ‘জাহাজের পরিবেশ ভালো। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখছি। আর ইমিগ্রেশন স্বাভাবিক পন্থায় হবে।’

বিআইডব্লিউটিসি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছর ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী জাহাজ চালুর বিষয়ে সম্মত হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। এ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ ও ভারতের জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল কৃষ্ণ।