বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলো

হংকংবিদেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রে বিমান টিকিট ও হোটেল ভাড়ার ওপর খরচ ওঠানামা করে। চাইলে কম দামের টিকিট ও হোটেলে থাকা যায়। কিন্তু পরিবহন, খাবার, চিত্তবিনোদনসহ বিভিন্ন খরচ কমানোর উপায় থাকে না। ভ্রমণপিপাসু অনেকের জানার ইচ্ছে, কোন শহরগুলোতে টাকা-পয়সা বেশি খরচ হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তবে এর শীর্ষস্থানে শুধু একটি গন্তব্য নয়, যৌথভাবে রয়েছে ফ্রান্সের প্যারিস, সিঙ্গাপুর ও হংকং। ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০১৯ সালের পৃথিবীব্যাপী বসবাসের খরচ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সিঙ্গাপুরবার্ষিক জরিপটির সম্পাদক রোক্সানা স্লাভশেভা জানান, বিশ্বের ১৩৩টি দেশের ১৫০টিরও বেশি উপকরণের মূল্য নির্ণয় করে দেখেছেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে খাবার, পোশাক, পরিবহন, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি খরচ। এবারের শীর্ষ দশে এশিয়া ও ইউরোপের প্রাধান্য স্পষ্ট।

প্যারিস২০০৩ সাল থেকে ফ্রান্সের রাজধানী সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষ দশে আছে। এবার প্যারিস জায়গা করে নিলো এক নম্বরে। গত বছর চার নম্বরে থাকা হংকং একলাফে উঠে গেছে শীর্ষে। এবারই প্রথম যৌথভাবে এক নম্বরে স্থান পেলো এই শহর।

জাপানের ওসাকাজাপানের ওসাকা ছয় ধাপ এগিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার সঙ্গে যৌথভাবে দখল করেছে পঞ্চম স্থান। আরেক সুইস শহর জুরিখ স্থান পেয়েছে চারে। সুইজারল্যান্ডের শহর দুটিতে পারিবারিক জীবনযাপন, ব্যক্তিগত যত্নআত্তি, চিত্তবিনোদন ও বিনোদন বেশ ব্যয়বহুল।

নিউ ইয়র্কউত্তর আমেরিকার শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশে রয়েছে কেবল নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেস। ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের সঙ্গে যৌথভাবে সাত নম্বরে আছে ‘বিগ অ্যাপল’ খ্যাত নিউ ইয়র্ক। পরিবহন খরচ, বিনোদনমূলক আয়োজন ও ব্যক্তিগত খরচ অনেক বেশি এই তিনটি শহরে।

তেল আবিবপাঁচ বছর আগেও ইসরায়েলের তেল আবিব ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ছিল ২৮ নম্বরে। এবার এটি জায়গা করে নিয়েছে ১০ নম্বরে। তেল আবিবের সঙ্গে যৌথভাবে দশে আছে ‘সিটি অব অ্যাঞ্জেলস’ (এলএ)। আমেরিকার এই শহর এগিয়েছে চার ধাপ। বসবাসের জন্য ব্যয়বহুল যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর সান ফ্রান্সিসকো ১২ ধাপ এগিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ২৫ নম্বরে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাসবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের সূচকে লন্ডন আছে ২২ নম্বরে। পর্যটকদের জন্য নিউ ইয়র্কের চেয়ে যুক্তরাজ্যের শহরটি ১৪ শতাংশ সস্তা। তালিকায় ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের অবস্থান ৫১তম।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনউজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ ১৯ ধাপ পিছিয়ে জায়গা পেয়েছে ১৩১ নম্বরে। মুদি দোকানের পণ্য, ইউটিলিটি ও চিত্তবিনোদনের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া একলাফে ২৯ ধাপ এগিয়ে আছে ৯০ নম্বরে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলতুর্কি লিরার মান কমে যাওয়ায় র‌্যাংকিংয়ে ৪৮ ধাপ নেমে তুরস্ক আছে ১২০ নম্বরে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম গতবার ৩৭ নম্বরে থাকলেও এ বছর ছিটকে গেছে ৫৬ নম্বরে। নিউ ইয়র্কের চেয়ে ৪৫ শতাংশ সস্তা রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ১৬ ধাপ নিচে নেমে রয়েছে ১০২ নম্বরে। নিউ ইয়র্কের তুলনায় ৫০ শতাংশ সাশ্রয়ী সেন্ট পিটার্সবার্গের অবস্থান ১৪ ধাপ পিছিয়ে ১১২ নম্বরে।

সুইজারল্যান্ডের জুরিখ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর
১. সিঙ্গাপুর
২ (১). প্যারিস (ফ্রান্স)
৩ (১). হংকং
৪. জুরিখ (সুইজারল্যান্ড)
৫. জেনেভা (সুইজারল্যান্ড)
৬ (৫). ওসাকা (জাপান)
৭. সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া)
৮ (৭). কোপেনহেগেন (ডেনমার্ক)
৯ (৭). নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র)
১০. তেল আবিব (ইসরায়েল)
১১ (১০). লস অ্যাঞ্জেলেস (যুক্তরাষ্ট্র)

লস অ্যাঞ্জেলেসসূত্র: ডেইলি মেইল, সিএনএন, ডেইলি এক্সপ্রেস