বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী মনে করেন, বেসরকারি উদ্যোগের ফলে পর্যটন শিল্পে নিয়মিতভাবে বৈচিত্র্য আসছে। তিনি আশা করেন, এবারের ঢাকা ট্রাভেল মার্ট দেশের পর্যটন শিল্পে আরও গতির সঞ্চার করবে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ধান বাহাদুর আলি, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব কার্ডস মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, দি বাংলাদেশ মনিটরের প্রধান সম্পাদক রকিব সিদ্দিকী।
এ প্রসঙ্গে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের সিনিয়র ব্যবস্থাপক দিবাকর বিক্রম রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৮ সালে নেপালে ১২ লাখ পর্যটক সমাগম হয়েছে। এবারই প্রথম এক্ষেত্রে ১০ লাখের ঘর পেরোতে পেরেছি আমরা। এ বছর এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে আশা করি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আমাদের পর্যটনের বড় একটি জায়গা।’
বাংলাদেশ ও নেপাল ছাড়াও মেলায় থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার জাতীয় পর্যটন সংস্থাগুলো অংশ নিচ্ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা পাঁচটি প্যাভিলিয়ন ও ৭০টি স্টলে নিজেদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মেলা চলাকালীন হ্রাসকৃত মূল্যে বিমান টিকিট বিক্রির পাশাপাশি আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করছে।
আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। সমাপনী দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গ্র্যান্ড র্যাফেল ড্র। বিজয়ীদের জন্য রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গন্তব্যের এয়ার টিকিট, ট্যুর প্যাকেজ, তারকা হোটেলে থাকা, লাঞ্চ ও ডিনার কূপনসহ বিভিন্ন পুরস্কার। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন দেশি-বিদেশি শিল্পীরা।