বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও ইন্ডিগো ডটবিডি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে কক্স কার্নিভাল। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর চীনের বেইজিং অ্যাক্রোব্যাট গ্রুপের প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই বিনোদন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রথম সেশনে এখানে ১৫টি শো হয়েছে।
কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য কক্স কার্নিভাল ভিন্ন মাত্রার বিনোদনের পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরবে। একসঙ্গে দুই হাজার দর্শক এখানকার প্রতিটি শো উপভোগ করতে পারবেন। এই বিনোদন কেন্দ্রের গ্যালারির আকার ৯ হাজার ৬৫০ বর্গফুট। ২৫ ফুট ব্যাসার্ধের মঞ্চটির আয়তন ২ হাজার ১০০ বর্গফুট। এছাড়া কার পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে ৩ হাজার বর্গফুটের ওপেন স্পেস। বিদেশি কারিগরি সহায়তায় তৈরি হয়েছে এর আধুনিক প্রযুক্তির সাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম।
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে তারা আয়োজন করছে কনসার্ট, ড্যান্স প্রোগ্রাম ও ফ্যাশন শো। এতে পারফর্ম করবেন সংগীতশিল্পী কনা ও অভিনয়শিল্পী তারিন। এছাড়া দেশের জনপ্রিয় র্যা ম্প মডেলদের নিয়ে মনোমুগ্ধকর ফ্যাশন শো উপস্থাপন করবেন কোরিওগ্রাফার লুনা। পর্যটকরা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
কক্স কার্নিভালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলমগীর শামসুল আলামিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন। পর্যটনকে ঘিরে কক্সবাজারে তৈরি হয়েছে উন্নতমানের অসংখ্য হোটেল-মোটেল। কিন্তু একটি অতৃপ্তি শোনা যায়— কক্সবাজার সৈকতে সাগরের জল ছাড়া আর কোনও বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। এটি ঘুচাতে কক্স কার্নিভাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমানে বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে এখানে অনুষ্ঠান হচ্ছে।’
আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, বিনোদন কেন্দ্রটিতে আগামীতে ম্যাজিক শো, লাইভ কনসার্ট, বাদ্যযন্ত্র শো, ড্যান্স ও থিয়েটারসহ আরও আনন্দদায়ক আন্তর্জাতিক আর স্থানীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ফলে পর্যটকরা ব্যতিক্রম বিনোদনের সুযোগ পাবেন এখানে।
জানা গেছে, সদ্য শেষ হওয়া সেশনে প্রতিদিন রাত ৮টায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টার একটি শোতে অ্যাক্রোবেটিকস, স্টান্ট ও নৃত্য প্রদর্শনী হয়েছে। দর্শকরা আন্তর্জাতিক মানের উপস্থাপনায় অকোব্যাট, জগলার, স্টিল ওয়াকার্স, নাচসহ নানান প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হন।