আরবী শব্দ ‘শুমুখ’ অর্থ ‘সর্বোৎকৃষ্টের যোগ্য’। আমিরাতি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি সুগন্ধি। তাদের তিন বছরের গবেষণার ফল এই পণ্য। এজন্য ৪৯৪টি সুগন্ধি পরীক্ষা করা হয়েছে।
নাবিল পারফিউমস গ্রুপ জানায়, সবচেয়ে বেশি হীরা ও রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত সুগন্ধির স্প্রে বোতল হিসেবে ইতোমধ্যে এটি স্থান পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। ইতালিয়ান মুরানো থেকে আমদানি করা কাচের বোতলটিতে যুক্ত রয়েছে সোনালি রঙা বাজপাখির মূর্তি, অ্যারাবিয়ান ঘোড়ার মূর্তি, গোলাপের আকৃতি ও পৃথিবীর আদল। এতে দুবাইয়ের গল্প রয়েছে বলে উল্লেখ করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন সুগন্ধির মধ্যে প্রথমে সবচেয়ে দামি ছিল ক্লাইভ ক্রিশ্চিয়ান নাম্বার ওয়ান ইমপেরিয়াল ম্যাজেস্টি। ২০০৫ সালে এই ব্র্যান্ডের ১০ বোতল সুগন্ধি বাজারজাত করা হয়। এর ৫০০ মিলিলিটারের প্রতিটি বোতলের মূল্য ২ লাখ ৫ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ৭২ লাখ টাকা)।
২০১১ সালে আমেরিকার ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান ডিকেএনওয়াই বাজারে আনে ‘গোল্ডেন ডেলিসিয়াস মিলিয়ন ডলার ফ্র্যাগ্রেন্স বোতল’। হলুদ ও সাদা স্বর্ণসহ এতে ২ হাজার ৭০০ হীরার টুকরো ও ১৮৩টি হলুদ মণিমুক্তা ছিল। বিশ্বের প্রথম মিলিয়ন ডলার সুগন্ধির বোতলের তকমা পায় এটি। এতে ছিল ১০০ মিলিলিটার সুগন্ধি। তবে এটি বাজারে খুব একটা পাওয়া যায়নি। নিলামে এই বোতল বিক্রি থেকে আসা অর্থ দান করা হয় চ্যারিটিতে। যদিও অঙ্কটা জানায়নি ডিকেএনওয়াই।
তবে প্রতি মিলিলিটার অনুযায়ী ‘শুমুখ’ সবচেয়ে দামি সুগন্ধি বলে বিশ্বরেকর্ড দাবি করছে দ্য স্পিরিট অব দুবাই। এ নিয়ে অবশ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
এদিকে ১০ লিটার বোতলের নতুন সুগন্ধি প্রস্তুত করছে মোরিয়াল প্যারিস। এতে মোড়ানো থাকবে সোনা, হীরা ও অমূল্য রুবি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এর মূল্য পড়বে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার (১৫১ কোটি টাকারও বেশি)। প্রতি মিলিলিটারের দাম ১ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল