বিআইডব্লিউটিসি’র নিজস্ব অত্যাধুনিক জাহাজ এম.ভি. মধুমতি শুক্রবার রাত ৮টায় ৮০ জন যাত্রী ও কেবিন ক্রুসহ ১২০ জনকে নিয়ে মেরি এন্ডারসন ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এই নৌযানে চড়ে যাত্রীরা সুন্দরবনসহ দক্ষিণ বাংলার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে কলকাতায় পৌঁছাবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর দেশ বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশের যত শহর, বন্দর, বাজার ও সভ্যতা; সবই নদীর তীরে হয়েছে। নৌপথে ভ্রমণ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে প্রিয়। তিনি পরিবারের সদস্য ও জাতীয় নেতাদের নিয়ে চাঁদপুর, বরিশাল, গোয়ালন্দ হয়ে গোপালগঞ্জে নিজের গ্রামে যাতায়াত করতেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেইসব ভ্রমণের স্মৃতি এখনও মাঝে মধ্যে আমাদের সামনে তুলে ধরেন। আমাদের দেশের নদীগুলো কত সুন্দর তাও তিনি বলেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের শ্রমিক উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।
জানা গেছে, শুক্রবার কলকাতা থেকে ‘মেসার্স আরভি. বেঙ্গল গঙ্গা’ নামের একটি ক্রুজ শিপ ঢাকা অভিমুখে রওনা করছে। জাহাজ দুটি বরিশাল, বাগেরহাটের মংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা ও ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় যাবে ও নারায়ণগঞ্জে আসবে।
গত বছর ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী জাহাজ পরিবহনের বিষয়ে সম্মত হয় বাংলাদেশ ও ভারত। এ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ ও ভারতের জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল কৃষ্ণ। নৌযান চালুর ফলে ভারতের গঙ্গা আর বাংলাদেশের যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী তিনটি নৌ-যোগাযোগে সংযুক্ত হবে।