রেডিসন ব্লু ঢাকায় ‘ওরিয়েন্টাল তার্কিশ নাইট’

অতিথিদের মাঝে (সবার বাঁয়ে) রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের জেনারেল ম্যানেজার আলেক্জান্ডার হৈজলার, (বাঁ থেকে পঞ্চম ও ষষ্ঠ) সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল সাব্বির আহমেদ (অব.) ও এসএইচডিএলের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিদওয়ান-আল-মাহমুদনৃত্য পরিবেশন করছে তুর্কি গ্রুপ মিরাস। অটোমান ঐতিহ্যকে বাঁশির সুরে তুলে ধরলেন তুর্কি বাঁশিওয়ালা। সব মিলিয়ে তুর্কি আবহ। রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের উৎসব মিলনায়তনে গত ২৮ মার্চ এগুলো উপভোগ করেন অতিথিরা। সাফল্য অর্জনে সহযোগিতা করায় বিজনেস ও মিডিয়া পার্টনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে পাঁচতারকা হোটেলটি আয়োজন করে ‘ওরিয়েন্টাল তার্কিশ নাইট’ শীর্ষক এই জমকালো অনুষ্ঠান।

শুরুতে রেডিসন ব্লু হোটেল গ্রুপ ও তুর্কি পর্যটন বোর্ডের ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। মূল আকর্ষণ ছিল তুর্কি খাবারের বুফে। পিলাফ রাইস, ল্যাম্ব শর্মা, ল্যাম্ব আদানা কাবাব, বাকলাভাসহ আরও বিভিন্ন রকমের খাবার পরিবেশন করা হয় অতিথিদের।

রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের জেনারেল ম্যানেজার আলেক্জান্ডার হৈজলারঅনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের জেনারেল ম্যানেজার আলেকজান্ডার হৈজলার ও সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল সাব্বির আহমেদ (অব.)। তারা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হোটেলটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় থাকা বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, তুর্কি দূতাবাস ও তার্কিশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা আর বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ীরা।

সবশেষে ছিল র‌্যাফেল ড্র। এতে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয় ঢাকা-ইস্তাম্বুল-ঢাকা রুটে তার্কিশ এয়ারলাইনসের দুটি টিকিট। দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে এক রাত থাকার ব্যবস্থা। তৃতীয় পুরস্কার রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিনামূল্যে স্পা ট্রিটমেন্ট।

সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল সাব্বির আহমেদ (অব.)২০০৬ সালে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দক্ষ অতিথি সেবার সুবাদে বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা হোটেলের তালিকায় ওপরের সারিতে রয়েছে এটি। ‘সিটি রিসোর্ট’ হিসেবে অতিথিদের জন্য শুধু হোটেলের সুযোগ-সুবিধাই নয়, বরং তাদের প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণীয় করে তোলে কর্তৃপক্ষ। এর ব্যবস্থাপনা করে সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এসএইচডিএল)।