রঘুরামপুর ও নাটেশ্বরে আবিষ্কৃত প্রত্নসম্পদকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা

মুন্সীগঞ্জে আবিষ্কৃত হচ্ছে প্রত্নসম্পদমুন্সীগঞ্জের রঘুরামপুর ও নাটেশ্বর দেউলে চলছে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান। ইতোমধ্যে বেশকিছু প্রত্নসম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলোকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, প্রত্নসম্পদ দেখতে জেলায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে ও ভ্রমণপিপাসুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি বিদেশি পর্যটকদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হতে পারে। 
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে খননকাজে সহযোগিতা করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। এ বছর আবিষ্কৃত হয়েছে পিরামিড আকৃতির স্তূপ। এটি বৌদ্ধ ধর্মের সমাধি। ধারণা করা হচ্ছে, এর উচ্চতা ৪৩ দশমিক ৫ মিটার। সমাধিটি ভারতবর্ষের সাঁচি, ভারহুত, অমরাবতী প্রভৃতির সমগোত্রীয় বড় বড় স্তূপের মতো।

মঙ্গলবার ( ৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটেশ্বর দেউল গ্রাম পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ। তিনি বলেছেন, ‘খনন করে যেসব প্রত্নসম্পদ পাওয়া গেছে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এতে এখানে পর্যটকদের আগমন বাড়বে। এর মাধ্যমে ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হবে।’

বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কর্মসূচির গবেষণা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুরে কিছু অংশ খনন করে আবিষ্কারে দেখা গেছে, এটি হচ্ছে বিক্রমপুরী বৌদ্ধ বিহার। দুই বছরের মধ্যে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে আশা করছি।’

জানা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশের ৯টি প্রত্নস্থানে পরীক্ষামূলক খননকাজ পরিচালিত হয়। তখন রঘুরামপুর গ্রামে ছয়টি ভিক্ষু কক্ষ, একটি মণ্ডপ ও পঞ্চস্তূপ আবিষ্কৃত হয়। ২০১৩ সাল থেকে নাটেশ্বর দেউলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বৌদ্ধ মন্দির, অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ, ইট নির্মিত রাস্তা ও নালার খোঁজ মেলে।

২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খননকাজে পাঁচ হাজার বর্গমিটারের বেশি এলাকা উন্মোচিত হয়। এরপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পরীক্ষামূলক খননে বল্লালবাড়ি থেকে প্রাচীন বসতির আলামত পাওয়া গেছে।