টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে: প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীদেশের বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রকৃতি ও লোকায়ত সংস্কৃতিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।

টাঙ্গুয়ার হাওর প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। 

সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরণা এসে মিশেছে এতে। টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। সেখানে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। এছাড়া ছয় প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, চার প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, ছয় প্রজাতির কচ্ছপ, সাত প্রজাতির গিরগিটিসহ বিভিন্ন প্রাণীসহ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই হাওর।

টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। সেখানকার উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম হলো জলজ উদ্ভিদ। এছাড়া আছে হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলশী, নলখাগড়া, বল্লুয়া, চাল্লিয়া ইত্যাদি জাতের উদ্ভিদ।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পর্যটনের বিকাশ করা যায়। আমাদের সম্ভাবনা ও সম্পদ রয়েছে, এখন শুধু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’

প্রতিমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যবসার পরিবেশ ও পর্যটন বিকাশের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমাদের গ্রামগুলোতে এখন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সারা পৃথিবীতে আমাদের প্রশংসা করা হয়। এখন সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য আমাদের দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন ও সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। জ্ঞানভিত্তিক ও বুদ্ধিদীপ্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তাকে সহায়তা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। যে দেশে সব মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় সেখানে উন্নতি নিশ্চিত।’