পর্যটনের বিকাশে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে নেপাল

‘নেপাল সেলস মিশন: ২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারাহিমালয়ের দেশ নেপাল ২০২০ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে। আগামী বছর সারাবিশ্ব থেকে ২০ লাখ ভ্রমণপিপাসু পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দেশটির পর্যটন বিভাগ। এ লক্ষ্যে ‘ভিজিট নেপাল ২০২০ লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্স’ নামে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এর মধ্যে পর্যটনের বিকাশে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে নেপাল। তাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন খাতে বাণিজ্যিক একটি সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী দেশটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে ছিল ‘নেপাল সেলস মিশন: ২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের নেপাল দূতাবাস ও ট্যুরিজম বোর্ড অব নেপাল যৌথভাবে এর আয়োজন করে। এতে নেপালের ৯টি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন প্রতিষ্ঠান ও ট্রাভেল এজেন্সি অংশ নেয়।

জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০১৮ সালে ১১ লাখ ৭৩ হাজার পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। এই সংখ্যা নেপালে বছরভিত্তিক পর্যটক আগমনের প্রায় দুই শতাংশ। পরের দুটি অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্য।

নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দিল্লি প্রসাদ আচার্য বলেন, ‘আমরা মনে করি, নেপালের পর্যটন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ একটি উপযুক্ত দেশ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক নেপাল ভ্রমণে যান। সেজন্য নেপালের ট্যুরিজম খাতের প্রসারে বাংলাদেশকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এর অংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন খাতে বাণিজ্যিক একটি সম্পর্ক তৈরি করতে চাই আমরা।’

নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ বলেন, ‘ভিজিট নেপাল ২০২০ লাইফটাইম এক্সপিরিয়েন্স ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হলো— আগামী বছর ২০ লাখ পর্যটককে নেপাল ভ্রমণে উৎসাহিত করা। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগীয় শহরে এ ধরনের সভার আয়োজন করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের পর্যটন উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান রানা বাহাদুর খাদকা, ট্যুরিজম বোর্ডের অফিসার রাজীব জাঁ, দীপস ট্যুরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক পৌডেল, নেপাল হলিডে মেকার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপক কৈরালা, ল্যান্ডমার্ক হোটেলের ম্যানেজার দীনেশ গিমেরী, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আবু জাফর।