মমির পাশাপাশি বেশকিছু নিদর্শন পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এর মধ্যে রয়েছে পটারি, হাতে আঁকা মুখোশ ও কাঠের মূর্তি। মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত দাহ্য খনিজ পদার্থের কারুকাজ করা পাত্র আর সমাধিতে লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়া স্ট্রেচারও পাওয়া গেছে। দুটি মূর্তিতে দেখা যাচ্ছে মিসরীয় পক্ষী ঈশ্বর ‘বা’। কিছু পাত্রে আছে খাবার। হায়ারোগ্লিফিক তথ্যে আভাস মিলেছে, এই সমাধির মালিক ছিলেন ব্যবসায়ী নেতা টিজেটি।
সমাধিটি বালির নিচে লুকানো ছিল। এটি খুঁজে পান প্রকৌশলী গ্যাব্রিয়েল বিতেলি। এরপর আবিষ্কৃত উপকরণগুলোর ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করেন তিনি। একটি দেয়াল দিয়ে সিল মেরে রাখা দুটি পৃথক কক্ষে মমিগুলো ছিল। প্রথম কক্ষে ৩০টি ও এর পাশের কক্ষে বাকি চারটি মমি পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। দুটি মমি মোড়ানো ছিল একসঙ্গে। ধারণা করা হয়, এগুলো মা ও তার সন্তানের। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
আসওয়ানে সব মিলিয়ে ৩০০ সমাধি খুঁজে বের করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খনন কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন মিসর ও ইতালির প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এর অংশ হিসেবে নতুন সমাধিটি পাওয়া গেলো। পরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ বছরের নভেম্বরে।
এ মাসের শুরুতে মিসরের সোহাগ শহর থেকে চার মাইল দূরে আখমিম এলাকায় এক দম্পতির সমাধির পাশে বিভিন্ন পশু-পাখির মমি আবিষ্কৃত হয়। এর মধ্যে আছে ইঁদুর, বিড়াল, ঈগল, বাজপাখি, বুনো ছাগসহ অর্ধশত প্রাণী। গত মাসে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অন্য একটি দল মিসরে নীল নদের কাছে প্রাচীন একটি বন্দর আবিষ্কার করে। মন্দির ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে গেবেল আল-সিলসিলার খনি থেকে পাওয়া পাথর নীল নদ দিয়ে পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান বন্দর ছিল এটি। গত বছর পিরামিড চত্বর গিজার কাছে উন্মুক্ত করা হয় চার হাজার বছরের পুরনো একটি সমাধি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস