সাগরতলের রহস্য জানতে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে পর্যটকদের ভিড়

1পাহাড়, গুহা, পানি, উঁচু-নিচু আর এলোমেলো পথ— পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড এমনই রোমাঞ্চকর। সাগরতলের রহস্য জানতে এখানে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চিত্তবিনোদনের পাশাপাশি সাগরের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক এটি। এর মাধ্যমে কক্সবাজারসহ দেশীয় পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

2মালয়েশিয়ার কারিগরি প্রকৌশলির সহায়তায় নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকুরিয়ামটি নির্মাণে লেগেছে দুই বছর। এতে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণসহ অচেনা ও বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— সামুদ্রিক শৈল মাছ, হাঙ্গর, পিতম্বরী, আউস, শাপলা, পাতা, সাগর কুচিয়া, বোল, পানপাতা, পাংগাস, চেওয়া, কাছিম, কাঁকড়া, জেলি ফিসসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ।

6সিলেট থেকে আসা পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘অনেকের মুখে এই অ্যাকুরিয়ামের কথা শুনেছি। এবার এটি ঘুরে দেখে আনন্দ পেলাম। রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড সত্যি খুব সুন্দর। এখানে এসে অনেক কিছু জানা হলো।’

গাজীপুরের বাসিন্দা সাজেদুল আলমের কথায়, ‘প্রবেশের সময় মনে হচ্ছিল বুঝি কোনও গুহা! কিন্তু ভেতরে এটি অনেকটা সাগরের মতো। ওপরে-নিচে পানি আর পানি। আর পানিতে নানান প্রজাতির মাছ।’

4ঢাকার ভ্রমণপ্রেমী রাহেলা বীথি বলেন, ‘এত মাছ একসঙ্গে কখনও দেখিনি। এর মধ্যে কিছু মাছ আগে দেখা হয়নি। অ্যাকুরিয়ামটি খুব সুন্দর। সাগরের আদলে সাজানো হয়েছে এটি।’

কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করছে অ্যাকুরিয়ামটি। পর্যটকদের জন্য এটি লোভনীয় একটি জায়গা। মাছ যে চিত্তবিনোদন হতে পারে তা বুঝিনি। এখন অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি।’

5এই ব্যবসায়ী জানান, কক্সবাজারে প্রতি বছর লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। তাদের জন্য রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড নিরাপত্তাসহ গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রেখেছে।