পাটুল বাজারের সেতুর আগে থেকে হালতিবিল পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বিলে নৌকা ভাড়া করে দারুণ সময় কেটেছে তাদের। পাটুল বাজার থেকে শুরু করে হালতিবিল পর্যন্ত বসেছে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে নানান মুখরোচক খাবারের দোকান। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে পুলিশ বাহিনী।
সিংড়ার চলনবিল স্পট, গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা, নাটোর রাজবাড়ি আর লালপুরের গ্রিনভ্যালি পার্কেও ভ্রমণপ্রেমীরা ঈদ উদযাপন করেছেন। গ্রিনভ্যালি পার্কে দায়িত্বরত রায়হান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের দিন থেকেই শত শত দর্শনার্থী পার্কে এসেছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ভিড়।
গ্রিনভ্যালি পার্ক দেখে খুশি সপরিবারে আসা মাসৌরা বেগম কাকলী। পার্কে বেড়ানো সদর উপজেলার দীঘাপতিয়া এলাকার শিশু কনক জানায়, গ্রিনভ্যালি পার্কে এসে তার ভালো লেগেছে। ট্রেন, নাগরদোলা, পাহাড় ও ইঞ্জিনবোটে উঠেছে সে। ভেতরের সেতুতে ছবিও তুলেছে।
নাটোরের এনডিসি জিয়াউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের দিন থেকে উত্তরা গণভবনে দর্শনার্থীরা ভিড় করেছে। সেদিন দুপুর ২টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওইদিন আয় হয় ২৮ হাজার টাকা। এর পরদিন টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঈদের পঞ্চম দিনে আয় হয়েছে ৫১ হাজার টাকা। শনিবার সকাল থেকেও বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল।
দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই গণভবনে বলে জানান এনডিসি জিয়াউর রহমান। এ কারণে তাদের খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে।