মিসরে মাটির নিচে সংরক্ষিত প্রাচীন ২০টি কফিন আবিষ্কার

মিসরে আবিষ্কৃত কফিনগুলোমিসরে মাটির নিচে ভালোভাবে সুরক্ষিত ২০টি কাঠের কফিন আবিষ্কৃত হলো। এগুলো পেয়ে চমকে গেছেন দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহদাকারের মধ্যে অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার মনে করছে মিসর সরকার।

নীলনদের তীরে নয়নাভিরাম শহর লাক্সরের কাছে আল-আসাসিফ কবরস্থানে কফিনগুলো আবিষ্কার হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, প্রাচীন মিসরীয়রা কফিনগুলো যেভাবে রেখে গেছে এখনও সেসব তেমনই আছে!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে গত ১৫ অক্টোবর আবিষ্কৃত কফিনগুলোর ছবি পোস্ট করেছে মিসরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়। এর ক্যাপশনে লেখা, ‘অক্ষত ও সিল দেওয়া কফিন।’ শনিবার (১৯ অক্টোবর) এর বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয় এই টুইটে।

মিসরে আবিষ্কৃত কফিনগুলোবড় আকারের সমাধিতে কফিনগুলো দুটি স্তরে স্তূপের মতো ছিল। এগুলোর রঙ খুব বেশি মলিন হয়নি। কত সালে এগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল সেই তথ্যও রয়েছে! যদিও তা প্রকাশ করা হয়নি।

মিসরে আবিষ্কৃত কফিন দেখছেন দেশটির প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী খালিদ আল-আনানিতবে যে স্থানে কফিনগুলো পাওয়া গেছে তা প্রাচীন থিবস শহরের অংশ। মিসরের প্রাচীন সভ্যতার রাজধানী ছিল এটি। প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী খালিদ আল-আনানি ও প্রত্মতত্ত্ব পরিষদের মহাসচিব মোস্তফা ওয়াজিরি কফিনগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।

মিসরে আবিষ্কৃত কফিনগুলোকিছুদিন আগে প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাচীন মিসরের (১৫৩৯ খ্রিষ্টপূর্ব-১২৯২ খ্রিষ্টপূর্ব) ৩০টি কারখানা আবিষ্কার করেন, যেখানে রাজাদের সমাধির জন্য শেষকৃত্যের আসবাব তৈরি করা হতো। একই স্থানে একটি বিশাল চুল্লি পাওয়া যায়। মৃৎশিল্প ও ধাতুর জিনিসপত্র তৈরিতে এটি ব্যবহার করতেন মিসরীয়রা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া