চায়না নিউজ সার্ভিস ওয়েবসাইটের ইংরেজি সংস্করণ বলছে, চীনে কাচের ফুটপাত ও স্লাইড আছে হিসাব ছাড়া! রোমাঞ্চপ্রেমী পর্যটকদের টানতে ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে মূলধন করে কাচ দিয়ে এসব বানানো হয়েছে।
কিন্তু কাচের তৈরি সেতু ও স্লাইড এখন বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সুরক্ষাজনিত কারণে চীনের হেবেই প্রদেশে কাচের ৩২টি আকর্ষণ এখন বন্ধ। এর মধ্যে আছে সেতু, হাঁটার পথ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের ডেক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবো ব্যবহারকারী অনেকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ কেউ গত কয়েক বছরে প্রচুর কাচের সেতু নির্মাণের সমালোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের মন্তব্য, সত্যিই বুঝতে পারছি না কেন এতসংখ্যক কাচের সেতু বানানো হলো। এটা স্রেফ টাকার অপচয়।’
চীনা চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি) জানিয়েছে, হেবেই প্রদেশের ২৪টি জায়গায় পর্যটকদের এসব আকর্ষণ ২০১৮ সালের মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে এতদিন তা খুব একটা জানাজানি হয়নি।
এ বছর গুয়াঙসি প্রদেশের একটি কাচের স্লাইড থেকে পড়ে গিয়ে একজন পর্যটকের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন ছয়জন। বৃষ্টির কারণে স্লাইডের কাচ বেশি পিচ্ছিল হয়ে যাওয়াই এই দুর্ঘটনার কারণ। তাই মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তি পাশের রেলিং ছাড়িয়ে স্লাইড থেকে ছিটকে পড়েন। মাথায় গুরুতর জখমের কারণে তার মৃত্যু হয়।
হুবেই প্রদেশে ২০১৭ সালে কাচের স্লাইডে দুর্ঘটনায় একজন পর্যটক মৃত্যুবরণ করেন। এর আগের বছর (২০১৬)জ্যাঙজিয়াজি শহরে কাচের ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে পাথর পড়ে আহত হন এক ব্যক্তি। ২০১৫ সালে হেনান প্রদেশের কাচের স্কাইওয়াক মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য চালু হলে পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপে তাতে ফাটল ধরে।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে চীন সরকার আঞ্চলিক পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রতি কাচের সেতু প্রকল্পের জন্য ‘ব্যাপক সুরক্ষা মূল্যায়ন’ চালুর আহ্বান জানিয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি