সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাজীগঞ্জ দুর্গ ও আশেপাশের প্রায় ২০ একর ভূমির মালিক প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। এসব জায়গা অন্য কোনও সংস্থা দাবি করলে তা বৈধ নয়।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি আশ্বাস দেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি কপোরেশন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের জায়গায় বনায়ন, লাইটিংসহ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করবে।
মেয়রের তথ্যানুযায়ী, দুর্গের পাশের গোলাঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ভূমিদস্যুরা দখল করেছে। এছাড়া কেল্লার অভ্যন্তরের সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারের অনেকাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। দুর্গের জায়গা আরও কিছু ব্যবসায়ী দখল করে রেখেছেন। তাদের স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী দেশে ফিরলে ওই ব্যবসায়ীদের অন্য জায়গা বরাদ্দ দিতে পাট মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
অভিযোগ আছে, কালের বিবর্তনে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দুর্গের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। গত ২৪ অক্টোবর এর আশপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমিটি যৌথভাবে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।
রবিবার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ও সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এফ এম এহতেশামুল হক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহাসহ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কর্মকর্তারা।