পর্যটন ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। তার কথায়, ‘প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, বর্ণিল লোকজ উৎসব, লালবাগ কেল্লার মতো অনেক প্রাচীন নিদর্শন। একটি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।’
মাহবুব আলীর মন্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সবকিছুতেই গুণগত পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। দেশের এই অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পর্যটন খাতের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি মনে করেন, পর্যটনের উন্নয়নে সবার সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। তাই সবাইকে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তার পরামর্শ, ‘পরিশ্রম ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সফল হতে হলে কষ্ট করার কোনও বিকল্প নেই। পর্যটনের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। তার উদ্যোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেল ও পাতালরেল নির্মাণ নাগরিকদের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সেবা দেবে। এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করবে।’
মাহবুব আলী জানান, পর্যটনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তার আশা, দুই বছরের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, সিলেটের বিছনাকান্দির পাশে একটি গ্রামকে পর্যটন গ্রামে রূপান্তর করা হবে। ওই গ্রামে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকবে। সেখানকার অবকাঠামোগত সুবিধা নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে।
পর্যটন সম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৭ সালে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ প্রতিষ্ঠিত করলেও ২০০৮ সালে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।