আলিদেওনা গ্রামে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার পাখির বাস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হরেক রকম বক, শামুকখোল, রাতচোরা, সারস, মাছরাঙা, পানকৌড়ি ও বিভিন্ন প্রজতির ঘুঘুসহ নাম না জানা অনেক পাখি। গ্রামের আনাচে-কানাচে বাঁশে ও গাছে সারাক্ষণ পাখির কলতান শোনা যায়। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে গ্রামবাসীর। এজন্য আলিদেওনা গ্রামের নাম হয়ে গেছে পাখি গ্রাম! এখানে এলে মুগ্ধ হন প্রকৃতিপ্রেমীরা। বাচ্চা ওঠানোর মৌসুমে শামুকখোল ও বকের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে।
স্থানীয়রা আলিদেওনা গ্রামকে পাখি শিকার মুক্ত এলাকায় রূপান্তর করেছেন। তাদের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপদ আবাসস্থল। পাখি শিকার রোধে নানান উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামবাসী। ফলে সারাবছরই হাজার হাজার পাখির সমাগম থাকে। তাদের যত্নে দায়িত্ব পালন করেন সবাই।
জেলার সর্ববৃহৎ পাখিকলোনি আলিদেওনাকে সরকারিভাবে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণার পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানান আলিদেওনা পাখি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতির মতো স্থানীয় পাখিপ্রেমী, সমাজসেবী ও পরিবেশবিদরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলার আলিদেওনা এখন পাখি গ্রাম হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তাই পাখির অভয়ারণ্যসহ গ্রামটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’