নয়নাভিরাম পুকুরটি লুকানো রত্ন, জেনে নিন কেন

জাপানের মনে’স পন্ডবাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে আনাচে-কানাচে অসংখ্য পুকুর। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মানুষের তৈরি এমন অনেক জলাশয় আছে। পৃথিবীর সবচেয়ে মনোরম ও রঙিন পুকুরের মধ্যে জাপানের মনে’স পন্ড তথা নামোনাকি পুকুর (যার অর্থ ‘নামহীন’) অন্যতম। চিত্রশিল্পীদের কল্পনার মতো দেখতে! অথচ এর কথা অজানা ছিল দীর্ঘকাল।

জাপানের সেকি শহরের প্রান্তে গাছগাছালিতে লুকানো ছিল পুকুরটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই মূলত গোটা বিশ্বের সঙ্গে এর পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্য করার সুবাদে এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

পবিত্র বস্তু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে জাপানে অনেক শিন্টো স্থাপনা চোখে পড়ে। পুকুরেও এমন একটি ছোট শিন্টো রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান হওয়ায় উপত্যকার চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ফুটে থাকা লিলি ফুল ও স্বচ্ছ জলে সাঁতার কেটে বেড়ানো রঙিন কই মাছ পুকুরটিকে দর্শনীয় করে রাখে। ফুল ছুঁয়ে মাছের সাঁতার কাটার দৃশ্য মনোরম।

জাপানের মনে’স পন্ডকেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো পুকুরটি? কারণ ফরাসি ভাববাদী চিত্রকর ক্লদ মনে’র ধারাবাহিক ঝলমলে চিত্রকর্মের সঙ্গে এর সাদৃশ্য রয়েছে। সেজন্যই পুকুরটির নাম মনে’স পন্ড। এর আগে কোনও নাম-পরিচয় ছিল না!

মজার বিষয় হলো, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চমৎকার পুকুরটি খনন করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধান ক্ষেতে সেচ দেওয়াই ছিল লক্ষ্য। নব্বই দশকে এটি এমন চমৎকার লাগতো না। তখন এখানে দুর্গন্ধ ও আগাছার ছড়াছড়ি থাকতো। স্থানীয়রা এটি পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর পুকুরে রঙিন মাছ ও লিলি ফুল যুক্ত করা হয়।

জাপানের মনে’স পন্ডচোখধাঁধানো পুকুরটি দেখতে আগ্রহীরা নিজের গাড়ি ছাড়া পুকুরটির হদিস পাবেন না! কারণ এর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই অনেকের। মূলত এ কারণেই কারও নজরে আসেনি পুকুরটি। তবে এখন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকে এখানে। মনের মতো ছবি তুলে সময় কাটে তাদের।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া