পর্যটন খাতের উন্নয়নে বাধা নীতিমালা ও পরিসংখ্যানের অভাব

সেমিনারে বক্তারানীতিমালা না থাকায় দেশের পর্যটন খাত এগোচ্ছে না। একইসঙ্গে পর্যটকদের আগমন ও বিদেশ গমনের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় সঠিক পরিকল্পনা করা যাচ্ছে না। তাই দ্রুত পর্যটন খাত নিয়ে গাইডলাইন প্রস্তুত করা জরুরি বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় এসব কথা বলেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) উপদেষ্টা মাসুদ হোসেন বলেন, “দেশে পর্যটন খাতের জন্য কোনও গাইডলাইন নেই। বাংলাদেশের পর্যটনকে তুলে ধরতে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হলেও এর প্রচারণা নেই।”

টোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর সহজ সমাধান নেই। বিদেশে অসংখ্য পর্যটক বেড়াতে যান, এর মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। বৈধ কোনও পথ না থাকায় টাকা স্থানান্তর হলেও সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না। এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে অভিমত তার।

প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান শাহিদ হামিদের পরামর্শ, পর্যটনের বিকাশে সবচেয়ে বেশি জরুরি সঠিক পরিকল্পনা। পরিকল্পনা না থাকলে এই খাতে সফলতা আসবে না। এজন্য তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পর্যটন খাত নিয়ে সঠিক কোনও পরিসংখ্যান নেই। এ খাতে যারা কাজ করছেন তাদের উৎসাহ দিতে কোনও পদক বা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই।’

দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সব ব্যবসায়ীকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানান ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ।