মিসরে প্রথমবার প্রাণীদের মমির প্রদর্শনী

প্রাণীদের মমি দেখছেন দর্শনার্থীরামিসরের প্রাচীন একটি সমাধিস্থলে পাওয়া প্রাণীদের মমির বৃহৎ একটি সংগ্রহশালার প্রদর্শনী হলো প্রথমবার। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সাকারার কাছে এসব নিদর্শন দেখতে শত শত দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে।

রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে সাকারার স্টেপ পিরামিডের কাছে গত বছর মূল্যবান এসব মমি আবিষ্কার করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মুখোশ, মূর্তি ও বিড়াল, কুমির, কোবরা সাপ ও পাখির মমিসহ শত শত নিদর্শন খুঁজে পান তারা।

দেশটির প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবিষ্কৃত মমির মধ্যে দুটি মমি সিংহ শাবকের কিনা তা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা চলছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায়ই বিড়ালের মমি পেয়ে থাকেন। তবে সিংহের মমি আবিষ্কারের ঘটনা বিরল।

গুবরে-পোকার মূর্তিকে বলা হচ্ছে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারমিসরের প্রত্মতত্ত্ব পরিষদের মহাসচিব মোস্তফা ওয়াজিরি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রদর্শিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিরাট গুবরে-পোকার মূর্তি। তার মতে, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুবরে-পোকা।

প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, আবিষ্কারের তালিকায় দুটি সিংহ শাবকের মমি রয়েছেকায়রোর ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দক্ষিণে নীলনদের কাছে প্রাচীন সমাধিস্থল সাকারা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন মিসরের রাজধানী মেমফিসের কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার হতো এই জায়গা।

প্রদর্শিত কয়েকটি নিদর্শনসাম্প্রতিক বছরে পর্যটনের শিল্পের বিকাশ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে মিসর।

সূত্র: বিবিসি