সুন্দরবনের পাশে ‘সুন্দরবন প্যালেস’

সুন্দরবন প্যালেসবিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের পাশেই মোংলা। এখানে যাত্রা শুরু করলো হোটেল সুন্দরবন প্যালেস। মোংলা পৌর শহরের শেখ আবদুল হাই সড়কে রিমঝিম চত্বরের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে এটি। সুন্দরবনে বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই হোটেল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা মেটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুন্দরবন ও মোংলা নদীর পাশে গড়ে তোলা চারতলা হোটেলটির নিচতলায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন মোংলা বন্দর পৌরসভার মেয়র মো. জুলফিকার আলী। তিনিই সুন্দরবন প্যালেসের প্রতিষ্ঠাতা। এ সময় ছিলেন মোংলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সবাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ।

অত্যাধুনিক হোটেল সুন্দরবন প্যালেসে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৭টি কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে দুটি বেড, এলইডি টিভি, বিদেশি লাইটিং ব্যবস্থা, টেবিল-চেয়ার, আসবাবের কারুকাজ ও হাই-কমোডের বাথরুম আছে।

চারতলার ছাদে কাচ দিয়ে সাজানো হয়েছে কফি হাউস। এতে বসে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। পাশাপাশি চোখে পড়বে পশুর নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা দেশি-বিদেশি সারি সারি জাহাজ।

নিচতলায় তৈরি হচ্ছে থাই চাইনিজ ফুড রেস্টুরেন্ট। দোতলায় কাচঘেরা অভ্যর্থনা কক্ষে সারি সারি ফুলের মনোরম পরিবেশ। এখানে বসার জন্য আছে সোফা।

সুন্দরবন প্যালেসের স্বত্বাধিকারী মো. জুলফিকার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, পুরো হোটেলটি সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে দুটি গেট। তার আশ্বাস, দ্রুত চালু করা হবে ক্যাপসুল লিফট।

মোংলার এই ব্যবসায়ীর কথায়– ‘শুধু ব্যবসায়িক ভাবনা নয়, মোংলা ও সুন্দরবনকে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে আকৃষ্ট করে তুলতে হোটেলটি গড়ে তোলা হয়েছে। তাই বিলাসবহুল প্রতিটি রুমের ভাড়া দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।’