সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ট্যুরিজম বোর্ড এমআইসিই আওতাভুক্ত পর্যটকদের জন্য দলবদ্ধভাবে ভ্রমণের ৬৩ ধরনের অভিজ্ঞতা নির্বাচন করেছে। এসব অভিজ্ঞতার মধ্যে খাবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দর্শনীয় স্থানে দলগঠনের চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা হবে। দলবদ্ধভাবে ভ্রমণকে উৎসাহ প্রদান এবং পর্যটকরা যেন সিঙ্গাপুর ভ্রমণের অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন সেজন্য এসব সুবিধাকে ‘ইন্সপায়ার’ প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোকে ভাগ করা হয়েছে চারটি বিভাগে। যেমন সিঙ্গাপুরের খাবার, বিনোদন ও রাতের জীবন, থিম্যাটিক ট্যুর ও শেখার অভিজ্ঞতা, আকর্ষণভিত্তিক ও স্বতন্ত্র দল তৈরির কার্যক্রম।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ও সিঙ্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র বোটানিক গার্ডেনে পর্যটকদের পছন্দ অনুযায়ী গুল্ম ও স্পাইস দিয়ে তৈরি খাবার পাওয়া যায়। কোনও পর্যটক দল যদি সিঙ্গাপুরের সিলিকন ভ্যালি সফরে আগ্রহী হন, তাহলে তারা ওয়ান নর্থ এলাকায় ভ্রমণ করতে পারেন। যেসব পর্যটক সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত সবুজ ভূমির সৌন্দর্য দেখতে চান তারা সমুদ্রের পাশের গার্ডেনগুলোতে র্যাপসোডি শো উপভোগ করতে পারেন। ওসিবিসি স্কাইওয়ে থেকে সাগরের পাশের এসব জায়গায় রাতের মনোরম রূপ দেখা যায়।
এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করলে ইন্সপায়ার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন এমআইসিই ক্ষেত্রের পর্যটকরা। দলটিতে সর্বনিম্ন ২০ জন বিদেশির অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং তাদের সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে তিন দিন অবস্থান করতে হবে। আগ্রহীদের অবশ্যই ২০২১-এর ৩১ মার্চের মধ্যে https://www.visitsingapore.com/mice/en/ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ মেলিসা অও বলেন, ‘২০১৮ সালে বিটিএমআইসিই ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর বৈশ্বিকভাবে ইন্সপায়ার প্রোগ্রামটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে করপোরেট গ্রুপে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এবারের ইন্সপায়ার-এর বৈশ্বিক সংস্করণে আমেরিকা, উত্তর এশিয়া, ওশেনিয়াসহ আরও কিছু দেশের বাজারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’