জেনেভায় সৃজিত-মিথিলার ভালোবাসায় মোড়ানো দিন

ভালোবাসার কাছে সীমান্ত হার মেনেছে! ক’দিন আগে ঘর বেঁধেছেন ওপারের নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও এপারের অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপিকা রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিয়ের পরদিন দু’জনে উড়ে গেছেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। বরফে ঢাকা আল্পস পর্বতমালার পাদদেশে মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করছেন তারা। জেনেভায় ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে নিজেদের পৃথক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন নবদম্পতি।



জেনেভায় রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা* আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ছিল ১১ ডিসেম্বর। সেদিন এসব ছবি শেয়ার করে মিথিলা লিখেছেন, ‘সুইস আল্পস থেকে ভালোবাসা পাঠালাম। শুভ পর্বত দিবস।’ আকাশ পরিষ্কার থাকায় জেনেভা থেকেই দেখা যাচ্ছে আল্পসের সারি সারি বরফ-পাহাড়।
জেনেভায় সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাজেনেভায় শীতে জবুথবু অবস্থা হয় সবার। তবে তাতে দমে যাননি সৃজিত-মিথিলা দম্পতি। এমন নৈসর্গিক দৃশ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সাধের কাছে ঠান্ডা তো নস্যি!
জেনেভায় রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা* ঘনিয়ে এসেছে বড়দিন। জেনেভার রাস্তাঘাটে এখন সেই ছোঁয়া। বরফে ঢাকা ছোট ছোট ক্রিসমাস ট্রি’র সামনে মিথিলা। ঠান্ডাকে দূরে রাখতে পরেছেন কালো লং জ্যাকেট।
জেনেভায় সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা* জেনেভার এই জায়গার নাম বাঁস্তিও পার্ক। এখানে ভ্রমণবিলাসীদের জন্য আছে সবুজ ঘাসের সমারোহ, খেলার মাঠ, রাস্তায় সাজিয়ে রাখা ছয়টি বড় বড় দাবার গুটিসহ বোর্ড, লাউঞ্জ চেয়ার ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। সেজন্যই সৃজিত এর ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘চেকড-মেট!’
জেনেভায় রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা* রিফরমেশন ওয়ালের সামনে মিথিলা। ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার প্রাঙ্গণে এটি অবস্থিত। ফরাসি ধর্মতত্ত্ববিদ, যাজক ও সংস্কারক জন ক্যালভিনের ৪০০তম জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভটি গড়ে তোলা হয়। ছবিটির ক্যাপশনে সৃজিত লিখেছেন হারমিওন গ্রেঞ্জার! হ্যারি পটার সিরিজের ছবি দেখে থাকলে নামটির সঙ্গে সব দর্শক পরিচিত। মেয়েটি হলো হ্যারি পটারের বন্ধু।
জেনেভায় সৃজিত মুখার্জি* একটি রাজহাঁসের সঙ্গে সৃজিত। রসিকতা করে তিনি ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘হাঁস ট্যাগড’।
জেনেভায় সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা* ইংরেজিতে মনের মানুষের মুখে ‘কাম অন বেবি’ শুনলে কার না ভালো লাগে! রসিকতা করে মিথিলা এ দুটি ছবির ক্যাপশন লিখেছেন, ‘কামান বেবি!’
জেনেভায় সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা* মধুচন্দ্রিমার জন্য সৃজিত-মিথিলার জেনেভাকে বেছে নেওয়ার উদ্দেশ্য আছে। এ ছবির ক্যাপশনে আছে সেই বার্তা, ‘যা সিমরান যা, তোর পিএইচডি করে ফেল!’ যারা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ দেখেছেন তাদের কাছে সিমরান (কাজল) পরিচিত। কাহিনিতে মেয়েটিকে জেনেভায় দেখানো হয়েছে। সেজন্যই বউকে উৎসাহ দিতে সিমরান নামটি বেছে নিয়েছেন সৃজিত।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা* সুইজারল্যান্ড যাওয়ার আকাশপথে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা থেমে থাকেনি সৃজিতের। উড়োজাহাজের আসনে বসে বরফে ঢাকা আল্পসের ছবি তুলে শেয়ার করেন তিনি। ক্যাপশনটা ছিল মজার, ‘জেনে-বাহ!’