ইতিহাসের সাক্ষী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গল্প (ভিডিও)



ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলাদেশের বহু ইতিহাসের সাক্ষী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান ও পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষর হয়েছিল এখানেই।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। লাখো জনতার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে জেনারেল নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে এই উদ্যানেই মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণের ঘটনা।

সেই স্মৃতিকে জ্বালিয়ে রাখতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে ‘শিখা চিরন্তন’। ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা চিরন্তন প্রজ্বালন ও দেশব্যাপী শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যায় শিখা চিরন্তন। ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছায় এটি। ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ এটি স্থাপন করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, তুরস্কের সোলেমান ডেমিরেল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভিডিও প্রতিবেদন: জনি হক ও মুন্না