কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন

পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসসেন্টমার্টিন অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কিন্তু এই প্রবাল দ্বীপ ভ্রমণের বেলায় পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘ সড়কপথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে এরপর জাহাজ ধরা ছাড়া বিকল্প ছিল না। আশার কথা হলো, কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চালু হয়েছে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ নামের পর্যটকবাহী জাহাজ। কক্সবাজারের উত্তর নুনিয়ারছড়ায় বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে এটি প্রতিদিন সকাল ৭টায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেবে। জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে ফিরবে বিকাল সাড়ে ৩টার পর।

কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে একসঙ্গে ৫৪৭ জন ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে চেয়ার রয়েছে ৫১০টি। ইকোনমিক আসনের চেয়ারের (দ্বিতীয় শ্রেণি) ভাড়া ২ হাজার টাকা। বিজনেস আসনের চেয়ারে (প্রথম শ্রেণি) বসে গেলে গুনতে হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা।

পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসজাহাজটিতে কেবিনের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে আছে সিঙ্গেল, ডাবল, ইকোনমিক ও ভিভিআইপি শ্রেণির। সিঙ্গেল কেবিন (একজন) ৫ হাজার টাকা, ডাবল কেবিন (দুইজন) ৮ হাজার টাকা, ইকোনমিক (দুইজন) ১০ হাজার এবং ভিভিআইপি (দুইজন) ১৫ হাজার টাকা।

এছাড়া প্রতিটি কেবিনে অতিরিক্ত যাত্রীদের জন্য ইকোনমিক আসনের চেয়ারের (দ্বিতীয় শ্রেণির) ভাড়ার টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটের দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার। জাহাজটিতে যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধনী আয়োজননতুন জাহাজটির যাত্রা উদ্বোধন করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পর্যটনের নতুন দুয়ার উন্মুক্ত হলো। একইসঙ্গে পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সমুদ্রপথে ভ্রমণের সময় পাহাড়, নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করবেন তারা। ফলে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো।’